ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ৮ পৌষ ১৪৩১
good-food
২০

হরহামেশা পান করছেন গরম পানি, বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১২:৪৯ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪  

শীতের শুরু থেকেই কুসুম গরম পানি পান করার প্রবণতা বাড়ছে। সকালে-রাতে গ্লাসের পর গ্লাস তা পান করছেন অনেকে। মূলত, ঠাণ্ডায় নিজেকে উষ্ণ রাখতে হরহামেশা গরম পানি পান করছেন তারা। এছাড়া এ মৌসুমে ওজন নিয়ন্ত্রণে এমনটি করছেন কেউ কেউ।

 

তবে কুসুম গরম পানি পানের নানা অসুবিধা রয়েছে। এর স্বাস্থ্য ঝুঁকিও আছে। এবার চলুন জেনে নিই, গরম পানি পানে আমাদের কী কী স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে-

 

# যারা অ্যাসিডিটিতে ভুগছেন, তাদের হালকা গরম পানি পান করা উচিত নয়। এতে পেটে অ্যাসিড বাড়াতে পারে, যা জ্বালাপোড়া, গ্যাসের মতো সমস্যা বৃদ্ধি করে। তাই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাই ভালো।

 

# উচ্চ জ্বরের সময় কুসুম গরম পানি পান করা এড়িয়ে চলাই ভালো। এ অবস্থায় উচ্চ তাপমাত্রার কারণে শরীর এমনিতেই গরম থাকে। হালকা গরম পানি পান করলে তা আরও গরম করে তুলতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ঠাণ্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া হজমের জন্যও বেশি আরামদায়ক সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা পানি।

 

# হালকা গরম পানিও ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। সাধারণত, ঠাণ্ডা পানি বেশি পরিমাণে পান করা যায়। কিন্তু গরম পানি ততটা যায় না। যে কারণে শরীর পর্যাপ্ত পানি পায় না। ফলে জলশূন্যতা হতে পারে।

 

# অতিরিক্ত হালকা গরম পানি পান করলে কিডনির ওপর বেশি চাপ পড়ে। কারণ কুসুম গরম পানি ঠাণ্ডা করতে এবং শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় কিডনিকে। দীর্ঘ সময় ধরে হালকা গরম পানি পান করলে কিডনির কার্যক্ষমতা প্রভাবিত হতে পারে।

 

# অনেকেই মনে করেন, হালকা গরম পানি পান করলে পেটের আলসার সেরে যায়। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া তথ্য। মূলত, কুসুম গরম পানি আলসারের ক্ষতগুলোতে আরও জ্বালা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে। এটি কেবল ব্যথা বাড়ায় না, আলসার নিরাময়েও বেশি সময় নিতে পারে।