ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৭৬৮

হার্ট সুস্থ রাখে যেসব ব্যায়াম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:১৩ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

হার্টের গুরুত্ব এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর ২৯ সেপ্টেম্বর সারাবিশ্বে পালিত হয় 'বিশ্ব হার্ট দিবস'। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় দিন হলো মঙ্গলবার। শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হৃদযন্ত্র। যতদিন হৃদপিণ্ড সচল থাকবে, ততদিন মানুষ সুস্থ থাকবে। কিন্তু যখনই হৃদযন্ত্রের কোনও সমস্যা দেখা দেবে, তখনই ধেয়ে আসবে বিপদ! 

 

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ হার্টের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। দিন দিন এ রোগ প্রবল আকার ধারণ করছে। কারণ-দুঃশ্চিন্তা, উত্তেজনা, উশৃঙ্খল জীবনযাপন ইত্যাদি। এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৭.৯ মিলিয়ন এবং ভারতবর্ষে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন মানুষ হার্টের অসুখে মারা যান। তাই হৃদরোগকে বিশ্বের একনম্বর ঘাতকব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

 

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, নিজেদের সুস্থ ও ফিট রাখতে হার্টের বিশেষ যত্ন নেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই, এদিন আমরা এমন কিছু ব্যায়ামের কথা উল্লেখ করব যা হার্ট সুস্থ ও সবল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাহলে দেখে নেয়া যাক কোন ধরনের ব্যায়ামগুলো করতে হবে। 

 

১. যে ব্যায়ামগুলো করার সময় শরীরের সব পেশী ব্যবহার করা হয়, তাকে সাধারণ অর্থে আইসোমেট্রিক ব্যায়াম বলে। একে অ্যারোবিক এক্সারসাইজও বলে। যেমন - হাঁটাচলা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ ধরনের ব্যায়ামগুলো হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকিগুলো যেমন - রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় এ ব্যায়ামগুলো করতে হবে। 

 

২. বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্টের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ওয়েট ট্রেনিং এক্সারসাইজ খুবই প্রয়োজনীয়। যেমন পুশ আপস, স্কোয়াটস, পুল আপস ইত্যাদি। এগুলো পেশী শক্তপোক্ত করে এবং হার্ট সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন এ ধরনের এক্সারসাইজ করতে হবে। 

 

৩. হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে যোগাসনের বিকল্প কিছু হয় না। এ ব্যায়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম উন্নত করতে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিন সকালে প্রত্যেকেরই যোগাসন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেমন - ভীরাভদ্রাসন (দ্য ওয়ারিয়র পোজ), সেতুবন্ধ সর্বাঙ্গাসন, ত্রিকোণাসন, শবাসন, সূর্য নমস্কার, ভুজঙ্গাসন, পশ্চিমোত্তানাসন ইত্যাদি হার্টের জন্য খুবই উপকারী। 

 

৪. হার্ট সুস্থ রাখতে প্রতিদিন এক্সারসাইজের সময় স্ট্রেচিং করতে হবে। এটি হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখার কার্যকর ব্যায়াম। হ্যামস্ট্রং স্ট্রেচ, কোয়াড্রিসেপস স্ট্রেচ, নি-পুল ও গ্রোইন স্ট্রেচ হার্ট সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। এগুলো কীভাবে করতে হবে, তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। 

 

৫. হার্ট সুস্থ রাখতে এক্সারসাইজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন সকালে এক ঘণ্টা ধরে ডিপ ব্রীদিং ব্যায়াম করলে হার্টের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। সঠিক নিয়ম মেনে কীভাবে করা উচিত তা বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে তবেই করতে হবে। এসব ব্যায়াম ও যোগাসন করার পাশাপাশি সুষম আহার গ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজন। 

 

এছাড়া ধূমপান ও মদ্যপান বর্জন করা, উশৃঙ্খল জীবনযাপন করা থেকে বিরত থাকা, বাইরের জাঙ্কফুড ও ফাস্টফুড না খাওয়া এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন করা জরুরি। তবেই শরীর ও হার্ট সুস্থ রাখা যাবে। 

 

উল্লেখ্য, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এ আর্টিকেল লেখা। তাই কোনও কিছু করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে থেকে কিছু করা যাবে না।