ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার, ২০২৫ || ৩ মাঘ ১৪৩১
good-food
৮১০

হাসপাতালের কর্মীদের হাতে খুন পুলিশ কর্মকর্তা, অতঃপর...

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৯ ১০ নভেম্বর ২০২০  

চিকিৎসার নামে ঢাকার আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার ১০ আসামিকে আদালতে নেয়া হয়। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

 

এর আগে আনিসুলের মৃত্যুর ঘটনাটি সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ। 

 

মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুলকে মারধর করেছে ৮-৯ জন। সিসিটিভি ফুটেজে এসব দেখা গেছে। বুকে আঘাত করেছে কেউ, কেউবা মাথায়। তার হাতও বাঁধতে দেখা গেছে। ঘটনায় যারা ছিল-কেউ ক্লিনার, কেউ ওয়ার্ড বয়। ওখানে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। তাই এটা হত্যাকাণ্ড মনে হয়েছে পুলিশের কাছে।  

 

এ ঘটনায় যাদের গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, তারা হলো মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকটেড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির (২৩), কিচেন শেফ মো. মাসুদ (৩৭), ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান (১৮), ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন (১৯), তানিফ মোল্লা (২০), সঞ্জীব চৌধুরী (২০), অসীম চন্দ্র পাল (২৪), লিটন আহাম্মদ (১৮) এবং সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।

 

ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সবাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। ওই হাসপাতালের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। অবৈধভাবে তারা বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগি ভাগিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, যারাই জড়িত থাকুক এ ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। মানসিক হাসপাতাল থেকে ভূইফোঁড় হাসপাতালে নিয়ে আসার পেছনে ‘দালালদের’ সংশ্লিষ্টতার আভাস পাওয়া গেছে। কেন আনিসুলকে সেখানে নেয়া হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

 

মাইন্ড এইড হাসপাতালটিতে মানসিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো বৈধ কাজগপত্র নেই। কোনও অনুমতিপত্র নেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরও। চিকিৎসক ছাড়াই এ হাসপাতাল পরিচালনা করা হয়। হাসপাতালটির পরিচালনা পর্ষদের কেউ ডাক্তার নন। 

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর