ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৪১০

হিমালয়ের বরফ গলছে; শুকিয়ে যাবে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৩৮ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে এশিয়ার বিস্তীর্ণ পর্বতশ্রেণীর ওপর থাকা বিশাল বরফের এক-তৃতীয়াংশ অবধারিত ভাবে গলে যাবে, যার প্রভাব পড়বে প্রায় ২০০ কোটি মানুষের ওপর। এর ফলে ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গাসহ বিভিন্ন নদীর উৎসমুখ শুকিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সংস্থার প্রতিবেদন বলা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পর্বত গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট’ (আইসিআইএমওডি) সোমবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এই প্রথম তৃতীয় মেরু অর্থাৎ হিমালয়ের বরফ গলার হারের উপর গবেষণা চালানো হলো। টানা পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন দেশের ২০০-রও বেশি বিজ্ঞানী এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের গবেষণা খতিয়ে দেখেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৫০ জন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, খুব দ্রুত বরফ গলে যাচ্ছে হিন্দুকুশ হিমালয়ের পাহাড়, পর্বতে। দ্রুত গলে যাচ্ছে সেখানকার বড় বড় হিমবাহগুলি (গ্লেসিয়ার)। গলছে এভারেস্ট, কারাকোরামের মতো পৃথিবীর দু’টি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গও। অ্যান্টার্কটিকা ও আর্কটিকের (সুমেরু ও কুমেরু) পর হিন্দুকুশ হিমালয়কেই বলা হয় পৃথিবীর ‘তৃতীয় মেরু’।

হিমালয়ে সেটাই এত দ্রুত হারে হচ্ছে যে আর ৮০ বছরের মধ্যেই তার এক-তৃতীয়াংশ বরফ পুরোপুরি গলে যাবে। আর বিশ্ব উষ্ণায়নের তাপমাত্রার বৃদ্ধি যদি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আটকে রাখা যায়, তা হলেও অর্ধেক বরফই গলে যাবে হিন্দুকুশ পর্বতমালার। উষ্ণায়নের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেই গলে যাবে দুই-তৃতীয়াংশ বরফ।

এর ফলে ওই অঞ্চলে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেকং-সহ প্রধান যে ১০টি নদী রয়েছে, পুরোপুরি ভেসে যাবে তাদের অববাহিকাগুলি ৪০ বছরের মধ্যে। এতে বিপন্ন হয়ে পড়বেন ভারত, পাকিস্তান, চীন, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান-সহ ৮টি দেশের প্রায় ২০০ কোটি মানুষ। তারপর সেই হিমবাহগুলির বরফ শেষ হয়ে গিয়ে সেগুলি রুখুসুখু পাথর হয়ে যাবে। সেই এক সময় সব উৎস থেকে বেরিয়ে আসা নদীগুলি পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে।