ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৪৯

বারবার ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রক্ষা করছে আমাদের

হে সুন্দরবন ধন্যবাদ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:১৩ ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় ম্যানগ্রোভ বন ও বাংলাদেশের বনাঞ্চল সুন্দরবন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই সুন্দরবনের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগর। বিভিন্ন সময় বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা ঘূর্ণিঝড়কে বারবার নিজের বুক চিতিয়ে বাধা দিয়ে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে সুন্দরবন। যার সর্বশেষ উদাহরণ সম্প্রতি হওয়া শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। 

আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস ছিলো ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। কিন্তু বিজ্ঞানীদের সব ধারণা ভুল প্রমাণিত করেছে সবুজে ভরা সুন্দরবন। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতি আটকে দিয়ে আবারও অকাতরে বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখলো সুন্দরবন। আর এজন্য সুন্দরবনকে ধন্যবাদ দিতে ব্যতিক্রমী আয়োজন করলেন বৃক্ষপেমীরা।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ’হে সুন্দরবন ধন্যবাদ’ নামে মানববন্ধন ও জমায়েতের আয়োজন করা হয়।

সুন্দরবনকে ধন্যবাদ জানাতে আয়োজন করা ব্যতিক্রমী চমৎকার এ উদ্যোগে শামিল হন স্থপতি ইকবাল হাবিব, গ্রীণ সেভার্সের সভাপতি আহসান রনি, মুক্তিযোদ্ধা রুহেল আহমেদ, প্রফেসর কামরুজ্জামান মজুমদার, পরিবেশবাদী গোলাম হায়দার ও মুনিম সিদ্দিকীসহ বৃক্ষপ্রেমীরা।

বক্তারা বলেন, সুন্দরবন বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যের নাম। সুন্দরবনকে আমরা কিছু না দিতে পারলেও সে আমাদের জন্য নিস্বার্থভাবে অনেক কিছু করে যাচ্ছে। অক্সিজেন, গাছ, মধুসহ নানা উপকরণ এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো বড় বড় বিপদ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করে যাচ্ছে এই সুন্দরবন। কিন্তু আমরা উল্টো সেই সুন্দরবনকেই উজাড় করতে পেছনে লেগেছি। অথচ সুন্দরবন বারবার নিজে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে রক্ষা করেছে আমাদের।

অতীতে বিভিন্ন সময় যেমন - ১৯৬১, ১৯৬৫, ১৯৬৬, ১৯৭১, ১৯৭৩, ১৯৭৪, ১৯৭৫, ১৯৭৭, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৮ সালগুলোতেও ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে দক্ষিণ উপকূল। প্রত্যেকবারই বুক চেতিয়ে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছে বিশাল সুন্দরবন। 
সাম্প্রতিক সময়ে ২০০৭ সালের সিডর, ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলা, ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতি-শক্তিও অনেকটাই কমে গিয়েছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ম্যানগ্রোভ বনের কারণে। আর তাইতো এখন সময়, সবাই মিলে সুন্দরবনকে রক্ষার, ধন্যবাদ জানানোর। মন থেকে সমস্বরে আওয়াজ তোলার সময় এখন - ‘ধন্যবাদ হে সুন্দরবন’।