ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৪

হ্যাকিং এড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড কেমন হওয়া উচিত?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৫:১০ ২ নভেম্বর ২০২৪  

আধুনিকায়নের এ যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। অনেকের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে গেছে। যে কারণে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। 

 

সোশ্যাল মিডিয়া শুধু ছবি, স্ট্যাটাস বা ভিডিও পোস্ট করার প্ল্যাটফর্ম নয়। ব্যবসা বা টাকা আয় করার দারুণ এক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। তবে এই প্ল্যাটফর্মগুলো এত বেশি জরুরি, ব্যক্তিগত এবং গোপনীয় হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। 

 

পাওয়ার্ড খুব সহজ হলে হ্যাকারের হাতে চলে যাবে আপনার অ্যাকাউন্ট। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নয়, স্মার্টফোন হোক বা ডেস্কটপ, ল্যাপটপ সব কিছুর নিরাপত্তার জন্যই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি, পাসওয়ার্ড আসলে কেমন হওয়া উচিত?

 

আসুন জেনে নেওয়া যাক-

১. যে কোনো ক্ষেত্রেই পাসওয়ার্ড দেবেন একটু জটিল। যেমন—১২৩৪৫, ১১১১, ০০০০, এবিসিডিই এই ধরনের কমন পাসওয়ার্ড দেবেন না।

২. নিজের বা কোনো প্রিয়জনের নামের আদ্যক্ষর শুধু ব্যবহার করে বা জন্মতারিখ কোনো পাসওয়ার্ড দেবেন না।

 

৩. পাসওয়ার্ড দিতে হবে একটু জটিল ধরনের। যেমন BIDI@him123। অর্থাৎ যেখানে ক্যাপিট্যাল ও স্মল লেটার, সাইন, ডিজিট সব মিলিয়ে পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

৪. পাসওয়ার্ড নিয়ম করে এক থেকে তিন মাস অন্তর বদলে নিতে হবে। নতুন পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময়েও মাথায় রাখুন আগের পাসওয়ার্ডের লেটার বা ডিজিট একই না-হয়।

 

৫. অনেক সময় ই-মেইল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট এমন বিভিন্ন ক্ষেত্রে একই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখেন অনেকে। এটা করা ঠিক নয়। সেক্ষেত্রে কোনো একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলে খুব সহজেই অন্য অ্যাকাউন্টগুলোও হ্যাকারদের টার্গেট হতে পারে।

 

৬. যেসব ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ডের সঙ্গে টু-স্টেপ অথেন্টিকেশনের অপশন আছে, সেটা অন রাখুন। এমন ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে ওটিপি-ও দরকার হবে। এতে সুরক্ষা বাড়বে।

৭. যে ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পাসওয়ার্ডের অপশন আছে, সেখানে সাধারণ পাসওয়ার্ডের সঙ্গে বায়োমেট্রিক অন করে রাখুন। অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা চোখের মণি মিলিয়ে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে।

 

৮. আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড হাতানোর জন্য প্রতারকরা অনেক সময়ে ফিশিং মেলের মাধ্যমে লিঙ্ক পাঠাতে পারে। অচেনা কারো থেকে পাওয়া লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।

৯. আপনার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কখনো কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না।

 

১০. আপনার মানিব্যাগ বা পকেটে কাগজে লিখে অথবা মোবাইলে মেসেজের মধ্যে সব অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড একসঙ্গে রেখে দেবেন না। তাহলে একসঙ্গে সব পাসওয়ার্ড কম্প্রোমাইজড হওয়ার বিপদ হতেও পারে।