ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৩৭

১০ বছরে ১০ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ বেড়েছে 

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:৫২ ১৮ জানুয়ারি ২০২১  

বর্তমান সরকারের নীতির ফলে গত ১০ বছরে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে। এছাড়া খাল পুনঃখনন ৯ হাজার ৪৫৭ কিমি এবং সেচ নালা স্থাপন করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩৫১ কিমি। পাশাপাশি ১০টি রাবার ড্যাম ও একটি হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সেচ এলাকা ৫৬ লাখ ২৭ হাজার হেক্টরে উন্নীত হয়েছে।

 

সম্প্রতি ‘ভূগর্ভস্থ পানি মনিটরিং ডিজিটালাইজেশন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়। বিএডিসি ‘ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়নে জরিপ ও পরিবীক্ষণ ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের’ আওতায় এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সেচ দক্ষতা ৩৫ শতাংশ থেকে ৩৮ শতাংশে এবং ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ২১ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। সেচযোগ্য জমির ৭৩ শতাংশ সেচের আওতায় এসেছে। সেচের আধুনিকায়নে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সেচকৃত এলাকা ৬০ লাখ হেক্টরে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

 

এছাড়া সেচ দক্ষতা ৩৮ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীতকরণ, সেচকাজে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ৩০ শতাংশে উন্নীত এবং ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার ৭০ শতাংশ হ্রাস করা হবে। কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাজে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন নিরুৎসাহিতকরণ, ভূগর্ভে পানির পুনর্ভরণ এবং ব্যবহার কমিয়ে এনে এর নিম্নগামিতা নিয়ন্ত্রণ করতে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর পরিবীক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকারের আমলে দেশে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ, সেচ খরচ হ্রাস ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানান ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, পানির টেকসই ব্যবহার ও পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী-খাল খনন ও পুনঃখনন, রাবার ড্যাম, জলাধার নির্মাণ, পানি সাশ্রয়ী পদ্ধতির ব্যবহারসহ অনেক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার ক্রমে বাড়ছে এবং এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। 

 

ইতোমধ্যে ফসল উৎপাদনে সেচের খরচ অনেক কমেছে; এটিকে আরো কমিয়ে আনতে উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়ে ও সেচ খরচ আরো কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নেয়া হবে।