২০২০: বাংলাদেশে আলোড়ন সৃষ্টিকারী যত ইস্যু
লাইফ টিভি 24
প্রকাশিত: ২৩:০৬ ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
২০২০ সালের পুরোটাই ছিল করোনা মহামারির কারণে বিধ্বংসী এক বছর। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশকেও বিপর্যস্ত করেছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। সরকারের ঘোষণা করা মুজিববর্ষের ব্যাপক আয়োজন পুনর্বিন্যাস করতে হয় সংক্রমণের কারণে। এর সঙ্গে বছরজুড়ে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়েছে মানুষ, ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। এছাড়া মেজর সিনহার হত্যাকাণ্ড বদলে দেয় একটা জেলার পুলিশ প্রশাসনের চিত্র। বছর শেষে ভাস্কর্য ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ইসলামপন্থী দলগুলো।
করোনা মহামারি
বছরের শুরুতেই মানুষকে হতবাক করে দেয় মহামারি করোনা। চীন থেকে শুরু হয়ে দেশে দেশে যখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন বাংলাদেশের মানুষ উৎকণ্ঠায় ছিল কবে এদেশে শনাক্তের খবর পাওয়া যাবে। গেল ৮ মার্চ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানানো হয় বাংলাদেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর খবর। ইন্সটিটিউটের তৎকালীন পরিচালক মেহেরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, এতদিন আপনাদের যা বলে এসেছি, আজ আর তা বলতে পারছি না। দেশে তিনজন শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, একজন নারী।
এরপর শুরু মানুষের মনে ভয়, আতঙ্ক সঙ্গে বিভ্রান্তি। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। বেশি সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন করা হয়। সবধরনের পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়। এরপরে দফায় দফায় পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের তরফ থেকে করণীয় সম্পর্কে ঘোষণা এসেছে। বেড়েছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। টিকা আবিষ্কার হলেও এখন পর্যন্ত তা বাংলাদেশে আসেনি। মানুষকে সাবধান থাকার জন্য বারবার হাতধোয়া, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা আর মুখে মাস্ক পরা - এগুলোই একমাত্র করণীয়।
মুজিববর্ষ
ওই মার্চেই বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা করা মুজিববর্ষ বিপুল আয়োজনে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার। দেশে বিদেশে ব্যাপকভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল। প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, তাদের ব্যাপক প্রস্তুতির পর করোনার কারণে সেটাকে কীভাবে পুন:বিন্যাস করার প্রয়োজন হয়েছে।
তিনি বলেন, খারাপ লেগেছে পরিকল্পনা মতো করতে পারিনি, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুনর্বিন্যাস করেছি। অনেক কিছু হচ্ছে অনলাইনে, টেলিভিশনে। কিছু প্রকাশনা হয়েছে। তবে হ্যাঁ, জনসমাগম করার যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে করা হয়নি। আপনারা জানের প্রধানমন্ত্রী সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী বছর ১৬ ডিসেম্বর করেছেন। আমরা আশা করছি, পরিস্থিতি ভালো হলে অনুষ্ঠান করতে পারবো।
খালেদা জিয়ার মুক্তি
করোনাভাইরাসের কারণে একই মাসে আরেকটি ঘটনা ঘটে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সম্পর্কিত দু'টি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন। ২ বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর এ করোনা সংক্রমণকালে তাকে কারাভোগ স্থগিত করে মুক্তি দেয়া হয়। খালেদা জিয়ার মুক্তির পর তার বোন সেলিমা ইসলাম বলেছেন, তাদের আবেদনের পাশাপাশি কোভিড-১ পরিস্থিতি মুক্তির বিষয়টি তরান্বিত করেছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকার কথা বলেছে সরকার।
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
বছরজুড়ে কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখায়। বছরের শুরুতেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। ভুক্তভোগী বলেন, সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখান থেকেই অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় সেখানেই জ্ঞান হারান। নির্যাতনের এক পর্যায়ে জ্ঞান ফিরে পান এবং আবার জ্ঞান হারান।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ধর্ষণের বিচার না পাওয়ার কারণে মানুষের মধ্যে একধরনের চরম হতাশা তৈরি হয়। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সেপ্টেম্বরের দিকে। অক্টোবরে সোশাল মিডিয়াতে দেড় মিনিটের একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা শুরু হয়। মানুষ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ঘটনার বিচার দাবি করে। পুলিশ জানায়, মাসখানেক আগে উপজেলার স্থানীয় কয়েকজন যুবক ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলেন, ১০ বছর ধরে তারা প্রায় ৩০০টি ধর্ষণের মামলায় আইনি সহায়তা দিচ্ছেন। কিন্তু বেশিরভাগ মামলারই বিচার শেষ করা যায়নি। তিনি বলেন, সমস্যাটা হচ্ছে, তদন্ত যিনি করছেন, তদন্তে সময় লাগাচ্ছেন। অনেকবার সময় নিয়ে তারপর হয়তোবা আদালতে চার্জশিট দিচ্ছেন।
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে এক তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় সিলেট শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সাধারণ মানুষ। টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের গেটের সামনে থেকে ওই তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ওই তরুণী তার স্বামীর সঙ্গে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তরুণীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে যখন জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন দুই ব্যক্তি তাকে গাড়িতে আটক করে রাখে।
এর ঘণ্টাখানেক পর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সামনে থেকে নিজের স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ-আন্দোলনের মুখে এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী এনে অধ্যাদেশের মাধ্যমে তা ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে।
মেজর সিনহা হত্যা
বছরের আলোচিত ঘটনার মধ্যে একটা হত্যাকাণ্ড পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে ব্যাপক রদবদল ঘটায়। সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। হত্যার অভিযোগে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ ১৫ জনকে আসামী করে চার্জশীট দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১৪ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারা এখন কারাগারে রয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সংবাদ সম্মেলন করে জানান এ হত্যাকাণ্ড ছিল পরিকল্পিত। মেজর সিনহা হত্যার পর পুলিশ এবং সেনাপ্রধান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাদের দুই বাহিনীর পক্ষ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেয়া হয়। নিরপত্তা বিশ্লেষকরা প্রশ্ন তোলেন দুই বাহিনীর মধ্যে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে কিনা।
এ ঘটনায় কক্সবাজারে জেলায় পুরো পুলিশ প্রশাসনে রদবদল করা করা হয়।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা
লালমনিরহাটের একজনকে পিটিয়ে হত্যা করে তার মরদেহ পুরিয়ে দেয়ার ঘটনায় হতবাক করে মানুষকে। পাটগ্রামে শহীদুন নবী জুয়েল নামে ওই ব্যক্তির নামে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে শত শত মানুষ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ নৃশংস ঘটনার ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। নিহত শহীদুন্নবী জুয়েল তার এক বন্ধু পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গেলে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে মুসুল্লিরা তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে মারধোর শুরু করে বলে জানিয়েছিলেন মসজিদটির খাদেম। স্থানীয় প্রশাসন ওই দুইজনকে উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে নিয়ে রাখলেও বাইরে হাজার হাজার মানুষ জমে যায় এবং দরজা ভেঙ্গে, দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে পুনরায় মারধোর শুরু করে। পুলিশ একজনকে উদ্ধার করতে পারলেও উত্তেজিত জনতা জুয়েলকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। পরে তার মরদেহ মহাসড়ক পর্যন্ত টেনে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
করোনাভাইরাসের কারণে সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ইতিবাচক। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিগত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। স্থির মূল্যে এই জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা। আর মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রাথমিক এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
সারাবিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের প্রকোপে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ধসে পড়েছে, সেখানে বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির হার ইতিবাচক থাকার কারণ হিসেবে কয়েকটা বিষয়কে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। তিনি বলেন, কৃষিখাত, কল-কারখানায় শ্রমিকদের কাজে ফেরা, সঠিক পথে রেমিটেন্সের পাঠানো অব্যাহত ছিল বলে প্রবৃদ্ধি হার ইতিবাচক ছিল।
পদ্মাসেতু
বিজয়ের মাসে বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বপ্নের পদ্মাসেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে। সর্বশেষ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরো সেতুটির ৬.১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়। পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের জানান, ৪১তম স্প্যান সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুটির উপর বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে পদ্মার দুই পার মাওয়া ও জাজিরা যুক্ত হয়ে যায়। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি হয় সপ্নের পদ্মাসেতু।
ভাস্কর্য ইস্যু
বছরের শেষ দিকে ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ইসলামপন্থী-দলগুলো কঠোর অবস্থান নেয়। ঢাকার দক্ষিণে ধোলাইপাড় মোড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইসলামপন্থী কয়েকটি দল ওই এলাকায় সমাবেশ করে। কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর আওয়ামী লীগ প্রতিবাদে নামে। এ দলগুলো শেখ মুজিবের ভাস্কর্যকে 'মূর্তি' আখ্যা দিয়ে এর নির্মাণ বন্ধ করা না হলে আরও কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেয়।
৪ ডিসেম্বরে ভাস্কর্য বিরোধী মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, দেশে ইসলামি অনুশাসন চালু হলে ভাস্কর্য রাখার অবকাশ থাকবে না। ভাস্কর্যের পক্ষে আওয়ামী লীগ সমমনা বিভিন্ন গোষ্ঠী প্রতিবাদ জানায়। এরই মধ্যে কুষ্টিয়াতে শেখ মুজিবর রহমানের নির্মাণাধীন একটা ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেললে পরিস্থিতি চরমে পৌছায়।
পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে। ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে সারাদেশে সরকারি আমলারা এক নজিরবিহীন সম্মেলন করেন। ভাস্কর্যের স্থানে মুজিব মিনার করার দাবি জানায় ওই দলগুলো। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে ভাস্কর্য তৈরির পক্ষেই অনড় অবস্থানে দেখা যায়। এক পর্যায়ে প্রথমবারের মত বেশ কিছু ইসলামী চিন্তাবিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান দুই পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, সংবিধানের বাইরে যাবো না, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানবো না। মিনার নাকি ভাস্কর্য সে ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০২০ সালে ঘটনাগুলোর মধ্যে ভাস্কর্য ইস্যু এখনো একটা চলমান বিষয়। আরো বৈঠক হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
- হেঁচকি কেন উঠে আর থামাবেন কীভাবে?
- নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে ইলিয়াস কাঞ্চনের ৩ প্রস্তাব
- সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার, আইপিএলের সবচেয়ে দামি এখন পান্ত
- পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
- দীর্ঘ ১৬ বছর পর বাবাকে খুঁজে পেলেন মার্কিন নারী
- নির্বাচনের তারিখ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত
- বাংলাদেশসহ যে ১২৪ দেশে পা রাখলেই গ্রেপ্তার নেতানিয়াহু
- পরীমণির প্রথম স্বামীর মৃত্যু, কে এই ইসমাইল?
- ছেলের কাজের ঘোষণায় বাবা
- স্বাস্থ্য-বিষয়ক যেসব প্রচলিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই
- কুমিল্লায় ‘যুদ্ধসমাধিতে’ মিলল ২৩ জাপানি সেনার দেহাবশেষ
- রাহুলের বিতর্কিত আউট নিয়ে প্রশ্ন আর সমালোচনার ঝড়
- প্রথম মিলেনিয়াল সাধু হতে যাচ্ছেন প্রয়াত ‘গড’স ইনফ্লুয়েন্সার’
- বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
- মোহিনীর জন্যই কি সায়রাকে ছাড়লেন এ আর রহমান? মুখ খুললেন আইনজীবী
- কবে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাবে, জানালেন সাকিব
- ঘর আর অফিস ম্যানেজ করবেন যেভাবে
- দায়িত্ব নিলেন আইজিপি বাহারুল আলম ও ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী
- শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
- রাজনৈতিক চাওয়া ও কূটনৈতিক চেষ্টা আ.লীগের জন্য কী অর্থ বহন করছে
- প্রথমবার সচিবালয়ে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা
- ডায়াবেটিস কেন হয়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
- এ আর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বললেন স্ত্রী ও সন্তান
- বিশ্বকাপ বাছাই: পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ কোন দল কোথায়
- শীতের সকালে আদা ও তুলসী পাতা খেলে কী হয়?
- পর্তুগালকে রুখে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া, শেষ মুহূর্তে
- ফের প্রেমে পড়েছেন পরীমনি
- শেখ হাসিনা পালিয়েছেন জানার পর যে অনুভূতি হয়েছিল, জানালেন ড. ইউনূস
- আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম রিমান্ডে
- শীতের সকালে আদা ও তুলসী পাতা খেলে কী হয়?
- শেখ হাসিনার নতুন অডিও ফাঁস, নেতাকর্মীদের যে নির্দেশনা দিলেন
- বাংলাদেশসহ যে ১২৪ দেশে পা রাখলেই গ্রেপ্তার নেতানিয়াহু
- যুগান্তকারী উদ্ভাবন, ন্যানো রোবটে জব্দ হবে ক্যানসার!
- রাজনৈতিক চাওয়া ও কূটনৈতিক চেষ্টা আ.লীগের জন্য কী অর্থ বহন করছে
- সালমান শাহর নায়িকার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যে কারণে ফ্রিজ হলো
- ফের প্রেমে পড়েছেন পরীমনি
- প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে বিএনপি আশাহত: মির্জা ফখরুল
- রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়লো
- শাস্তির মুখে পড়তে পারেন মেসি, হতে পারেন নিষিদ্ধও
- মণিপুরে বিক্ষোভকারী নিহত: বিজেপি-কংগ্রেস অফিসে আগুন
- বিশ্বকাপ বাছাই: পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ কোন দল কোথায়
- বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
- সংস্কারের জন্য নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে
- এ আর রহমানের বিচ্ছেদ, যা বললেন স্ত্রী ও সন্তান
- ঘর আর অফিস ম্যানেজ করবেন যেভাবে
- আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
- কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না : গভর্নর
- শেখ হাসিনা পালিয়েছেন জানার পর যে অনুভূতি হয়েছিল, জানালেন ড. ইউনূস
- ডায়াবেটিস কেন হয়, কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?