ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৬৫

২০২৩ সালের শুরুতে দেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ শেষ হতে পারে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৩:০৪ ১ জুন ২০২১  

২০২৩ সালের শুরুতেই শেষ হতে পারে দেশের ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। এই সংকট কীভাবে মোকাবেলা করা হবে তা স্পষ্টও করেনি বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)। জাতীয় ব্যান্ডউইথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চুপ থাকায় ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। 

 

সূত্র বলছে, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি দেশের তৃতীয় সাবমেরিন কেবল এসইএ-এমই-ডব্লিউই -৬ আসার পরে এই সমস্যার সমাধান হবে, তবে বর্তমান ব্যান্ডউইথের বৈধতা ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ায় পরবর্তী দুই বছর ব্যান্ডউইথ ছাড়াই কাটাতে হতে পারে। 

 

করোনা পরিস্থিতিতে দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। কেননা মানুষ দৈনিক অন্তত ৬-৮ ঘন্টার ইন্টারনেট ব্যবহার করে। করোনার আগে যার গড় ছিল ২ ঘন্টা।

 

এ বিষয়ে অপটিম্যাক্স কমিউনিকেশনের পরিচালক ইমদাদুল হক বলেন, ভবিষ্যতে মানুষের ইন্টারনেট ব্যবহার আরও অনেক বেশি বাড়বে। যার বেশিরভাগ ব্যবহার হয় ব্যান্ডউইথ দিয়ে। তিনি হাতাশা প্রকাশ করে বলেন, এমন অবস্থাতেও বিএসসিসিএল কীভাবে তা মোকাবেলা করা হবে এখনও তা স্পষ্ট করেনি। 

 

যদিও এসইএ-এমই-ডব্লিউই -৪ ও এসইএ-এমই-ডব্লিউই -৫ এর কারণে কিছুটা আশা আছে। কেননা এসইএ-এমই-ডব্লিউই -৪ এর সাথে যুক্ত আছে  ভারত, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুর। এরমধ্যে কোন একটি দেশ নতুন ক্যাবল ব্যবহার না করলেই বাংলাদেশ সেখান থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে পারবে। 

 

আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) অপারেটররা দাবি করেছেন যে, তাদের ব্যান্ডউইথ আমদানির ক্ষমতা সীমাহীন। তবে ভারতীয় সাবমেরিন কেবলগুলির ক্ষমতা এবং তারা কতটা ব্যান্ডউইথ বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে পারে তার উপর সবকিছু নির্ভর করছে। 

 

সময়মতো ব্যান্ডউইথ না কিনলে ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কম ব্যান্ডউইথের অর্থ বিদ্যমান ভলিউমের জন্য আরও বেশি ব্যয় হওয়া অ্যাসোসিয়েশন অব এ কথা জানান, মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অফ বাংলাদেশ (এএমটিওবি) এর মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব)।