ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৯৫

৩৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামল রিজার্ভ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:০৪ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২  

প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো আয়ের প্রবাহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে আমদানি ব্যয়ও হ্রাস পেয়েছে। তবু বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চায়ন বা রিজার্ভের ওপর চাপ কমছেই না। ইতোমধ্যে তা ৩৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। 

 

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম চ্যানেল24 অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারে। গত সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে তা ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য ৫ বিলিয়ন ডলার।

 

গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। এ নিয়ে প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তা এত নিচে নামে। সেসময় রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার।এরপর থেকে কমছে তো কমছেই।

 

নেপথ্য কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ কর্মকর্তা বলেন,সরকার ও আমাদের নানামুখী উদ্যোগে দেশে আমদানি ব্যয় কমেছে। পাশাপাশি রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডলার বিক্রি এবং এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিটের (আকু) দেনা পরিশোধ করায় রিজার্ভ কমে গেছে।

 

ইতোমধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, দু‘এক দিনের মধ্যেই রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসবে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে।

 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পণ্য আমদানি মূল্য ও পরিবহন ব্যয় বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে দেশের মুদ্রাবাজারে। এতে টাকার বিপরীতে ডলারের দর ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। ফলে দেশে প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রা সরবরাহ সঙ্কট দেখা দেয়।

 

পরিপ্রেক্ষিতে ডলার সরবরাহে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়। অস্থির বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করে সরকার। রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবু কাজ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত অভিযানে নামে তারা। এতে সফলতা মিললেও সংকট কাটছে না।