ঢাকা, ০১ মার্চ শনিবার, ২০২৫ || ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
good-food
২৭

ইউরিক অ্যাসিড ভোগাচ্ছে, ভুলেও ছোঁবেন না এসব সবজি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৫৫ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

বর্তমানে ইউরিক অ্যাসিডে কম বেশি অনেক মানুষই বিপর্যস্ত। চিকিৎসকদের মতে, যদি আমরা খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানতে না পারি, তাহলে শারীরিক সমস্যা তো দেখা যাবেই। আর তার মধ্যে অন্যতম ইউরিক অ্যাসিড। মূলত, বাইরের খাবার বা জাঙ্ক ফুড যত খাবেন, ততই রোগ জাঁকিয়ে বসবে। তাই বাইরের খাবার এড়িয়ে, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।

 

চিকিৎসকদের মতে, শরীরে পিউরিনের ভাঙনের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয়। সাধারণত, এটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু যখন এর পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন এটি জয়েন্টগুলোতে জমা হতে পারে এবং এই সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সবজি আছে, যাতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে এবং এগুলো ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু সবজি সম্পর্কে-

 

ফুলকপি
ফুলকপিতে মাঝারি পরিমাণে পিউরিন থাকে। তবে এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। এটি ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। তবে যদি আপনার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে, তাহলে এটি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

 

বেগুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেগুনে পিউরিনের পরিমাণ মাঝারি। তবে এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। বেগুন সাধারণত স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। তবে ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

 

মাশরুম
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও মাশরুম প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের একটি ভালো উৎস, ইউরিক অ্যাসিড রোগীদের এগুলো খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত অথবা অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।

 

পালং শাক
পালং শাক একটি পুষ্টিকর সবজি, যা আয়রন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। তবে এতে উচ্চ পরিমাণে পিউরিনও রয়েছে। যারা ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের সীমিত পরিমাণে পালং শাক খাওয়া উচিত। বেশি পরিমাণে পালং শাক খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

 

কিছু বিষয় মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ
ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি।
উপরে উল্লিখিত সবজিগুলো সীমিত পরিমাণে খান।
বেশি পানি পান করলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড দূর হয়। তাই দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান এবং নিয়মিত চেক-আপ করান।