ঢাকা, ১১ মার্চ মঙ্গলবার, ২০২৫ || ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১
good-food
১৬

ধর্ষণের বিচারের দাবিতে উত্তাল সারাদেশের শিক্ষাঙ্গন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০৬ ১০ মার্চ ২০২৫  

নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে উত্তাল দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ মানুষ। শনিবার (৮ মার্চ) মধ্যরাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়,  শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইডেন কলেজসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা ধর্ষণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান।

 

নারী ও শিশু নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষকদের প্রকাশ্য শাস্তির দাবিতে শনিবার মধ্যরাতে ঢাবির কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হন রোকেয়া হলের সামনে। সেখানে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হল থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আয়োজনে ধর্ষণবিরোধী গণপদযাত্রাঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আয়োজনে ধর্ষণবিরোধী গণপদযাত্রা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাবি সংসদের মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুবা হৃদি এই ঘোষণা দেন। এর আগে রাত ২টা ১০ মিনিটে রাজু ভাস্কর্যে একই ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

 

ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৮ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন। তারা রাত ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এ সময় তারা ‘ধর্ষকদের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’; ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘হলে হলে খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’, ‘চব্বিশের বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এছাড়া শনিবার রাতে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ ও মিছিল করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

কাগজে-ব্যানারে বিভিন্ন লেখা হাতে প্রতিবাদ জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাকাগজে-ব্যানারে বিভিন্ন লেখা হাতে প্রতিবাদ জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

রবিবার (৯ মার্চ) সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শিক্ষক নেটওয়ার্ক, রাজু ভাস্কর্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা, বুয়েট শহীদ মিনারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। কর্মসূচি থেকে শিশু ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত সময়ে বিচার, বিগত সময়ের সব ধর্ষণ-নিপীড়নের বিচার শুরু করা, ধর্ষণের ঘটনায় বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার দাবি এবং নারীর প্রতি গৃহ থেকে পাবলিক পরিসরে পুলিশিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিও ওঠে।

 

কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীকে হেনস্তার ঘটনায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা কয়েকটি দাবি জানান। তিনি বলেন, থানা থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে পড়া, ভুক্তভোগীকে সাইবার বুলিং এবং ধর্ষণের হুমকিদানকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, অভিযুক্তকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে বরখাস্ত করতে হবে।

 

ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। এসময় ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বুয়েট একতাবদ্ধ উল্লেখ করে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডসহ ছয়টি দাবি উত্থাপন করেছেন তারা। রবিবার সকালে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ দৃশ্যমান ও সন্তোষজনক নয়।

ইউল্যাব শিক্ষার্থীদের লাঠি মিছিলইউল্যাব শিক্ষার্থীদের লাঠি মিছিল

তারা দাবি জানান, দেশের ধর্ষণ আইন পরিবর্তন করে দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে শাস্তি দ্রুত সময়ে কার্যকর করতে হবে। মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অপরাধীদের এই নতুন আইনে দ্রুত সময়ের মধ্যে নজিরবিহীন শাস্তি কার্যকর করতে হবে। সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া সব নারী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। নারী নির্যাতনের ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া ও বিচারিক কার্যক্রম দ্রুততম সময়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আইনি সহায়তা ও বিচারের প্রক্রিয়া নারীবান্ধব করে তুলতে হবে। সর্বোপরি বাড়িতে, বাইরে সর্বত্র নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের পদক্ষেপ দৃশ্যমান ও কার্যকর হতে হবে।

 

নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর ও নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে লাঠি মিছিল করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীরা। বিকালে রামচন্দ্রপুর স্থায়ী ক্যাম্পাসের মূল গেটের সামনে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ

নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রতিবাদ সমাবেশ রবিবার (৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।  এ প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় শিক্ষকরা দেশের বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় ৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

 

খুন, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শহরের চৌরাস্তা মোড় কোর্ট চত্বরের সামনে এই প্রতিবাদ করা হয়। ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁওয়ের ব্যানারে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা এতে অংশ নেন। এ সময় তারা ‘খুন-ধর্ষণ-নিপীড়ন; রুখে দাঁড়াও জনগণ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

 

মাগুরায় শিশু ধর্ষণসহ সব ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত ও জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক সম্মুখে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এসময় প্রায় আধা ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ধর্ষণকারীদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতের দাবি জানান। এছাড়া শিক্ষার্থীরা মাগুরাসহ দেশে সংঘটিত সব ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের বিচার নিশ্চিতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ধর্ষণকারীদের শাস্তি দেওয়া না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

 

মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করার দাবিতে নেত্রকোনায় বিক্ষোভ হয়েছে। রবিবার ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

 

দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার লক্ষ্যে সারা দেশের মতো মেহেরপুরে মানববন্ধন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রবিবার দুপুর ১টায় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরাকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা

সারা দেশে ধর্ষণ ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

 

দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘটিত ধর্ষণের সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রবিবার বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে নারী ও শিশু যৌন নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

 

দেশে চলমান ধর্ষণের বিরুদ্ধে এবং ধর্ষণকারীদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৯ মার্চ) দুপুরে কারমাইকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে লালবাগ রেলগেট প্রদক্ষিণ করে লালবাগ মোড়ে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।

 

মাগুরার শিশুটির ধর্ষণকারীদের ফাঁসি কার্যকর, দেশব্যাপী ধর্ষণ প্রতিরোধ, ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত এবং নারীসহ সকল নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বাদামতলা, প্রধান ফটক ও ঘোড়াপীর মাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

 

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে, আমি কে, আছিয়া আছিয়া’, ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘ধর্ষকদের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে’ এবং ‘এক, দুই, তিন, চার—জাহাঙ্গীর তুই গদি ছাড়’—এমন নানা প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।