ঢাকা, ১৯ এপ্রিল শনিবার, ২০২৫ || ৬ বৈশাখ ১৪৩২
good-food
৩৬

‘নারী’র সংজ্ঞা ঠিক করে দিলেন ব্রিটিশ আদালত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৩০ ১৭ এপ্রিল ২০২৫  

নারীর আইনি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে রায় দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট। আজ বুধবার এই রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সমতা আইনে ‘নারী’ তারাই, যাদের জৈবিক লিঙ্গ নারী। অর্থাৎ জন্মসূত্রে বা শারীরিকভাবে যারা নারী, তাদেরকেই নারী হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হবে।

 

তবে আদালত বলেছেন, এই রায়ে ট্রান্সজেন্ডাররা কোনো সমস্যায় পড়বেন না। ২০১০ সালের আইনের কথাও এতে উল্লেখ করা হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ট্রান্সজেন্ডাররা নারী হিসেবে পরিচিত হবেন না। সেক্ষেত্রে নারীদের জন্য যেসব পরিষেবা দেওয়া হয়, তারা সেগুলো পাবেন না। 

 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, এক ট্রান্সজেন্ডার নারীর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আজ ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট এই রায় ও নারীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিলেন। মামলার বিষয়বস্তু ছিল—জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত (জিআরসি) একজন ট্রান্স-নারী ব্রিটেনের ইকুয়ালিটি অ্যাক্টের অধীনে নারী হিসেবে বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাবেন কি না। জিআরসি হলো একটি আনুষ্ঠানিক নথি, যা ব্যক্তির লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতি দেয়।

 

এই মামলা ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার নিয়ে চলা বিতর্কের এক নতুন উদাহরণ। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে যায়। ‘ফর উইমেন স্কটল্যান্ড’ নামের এক অধিকার গোষ্ঠীর দাবি ছিল, সমতা আইনের অধিকার শুধু জন্মগত লিঙ্গের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া উচিত। তারা স্কটল্যান্ড সরকারের একটি নির্দেশের বিরোধিতা করেছিল। এই নির্দেশনাটি ২০১৮ সালের একটি আইনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। আইনটির উদ্দেশ্য ছিল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে নারী কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো।

 

স্কটল্যান্ডের মন্ত্রীরা বলেছিলেন, যেসব ট্রান্সজেন্ডার নারীর কাছে লিঙ্গ পরিবর্তনের সরকারি জিআরসি সনদ আছে, তারা আইনত নারী। এই ইস্যুতে স্কটল্যান্ডের একটি আদালতে ফর উইমেন স্কটল্যান্ড হেরে গিয়েছিল। এরপর তারা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। গত নভেম্বরে সেই আপিলের পর এবার সুপ্রিম কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দিলেন।

 

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি বলছে, এই রায় সবার মধ্যে ‘স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাস’ এনেছে। অন্যদিকে বিরোধী কনজারভেটিভরা এটিকে ‘কমন সেন্সের স্পষ্ট বিজয়’ বলে অভিহিত করেছে এবং সরকারকে বিদ্যমান নির্দেশিকা সংশোধন করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ব্রিটেনের শীর্ষ আদালত সর্বসম্মত রায় দেওয়ার পর অনেকেই উদযাপন করেছেন।

 

যুক্তরাজ্যে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় এমন সময়ে এল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সামরিক বাহিনী থেকে ট্রান্সজেন্ডারদের বাদ দিচ্ছে, এমনকি নারীদের খেলা থেকেও ট্রান্সজেন্ডারদের বাদ দিচ্ছে।