ঢাকা, ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৫ || ৮ বৈশাখ ১৪৩২
good-food

নাসুমকে হাথুরুর থাপ্পড়, যা জানালেন হেরাথ-পোথাস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:৪৬ ২১ এপ্রিল ২০২৫  

২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা নিয়ে বিসিবি গঠন করেছিল পারফরম্যান্স মূল্যায়ন কমিটি। খেলোয়াড়দের বাজে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি উঠে আসে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ—নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ডাগআউটে নাসুম আহমেদকে চড় মেরেছিলেন তৎকালীন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

 

তবে অভিযোগটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছিলেন হাথুরুসিংহে। এবার প্রথমবারের মতো তার পাশে দাঁড়ালেন তার দুই সাবেক সহকর্মী—বাংলাদেশ দলের সাবেক স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ ও সহকারী কোচ নিক পোথাস। তাদের মতে, নাসুমকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও অতিরঞ্জিত।

 

অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘কোড স্পোর্টস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেরাথ বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, এমন কিছু ঘটেনি। আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম। যদি কেউ বলে থাকেও, সেটির প্রমাণ থাকা জরুরি। চড় মারা আর হালকা ধাক্কা দেওয়ার মধ্যে বড় পার্থক্য আছে। আমার দৃষ্টিতে এমন কিছু ঘটেনি।’

 

৫১ বছর বয়সী পোথাস আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘আমি হাথুরুসিংহেকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তিনি একজন অভিজ্ঞ ও পেশাদার কোচ। এমন কিছু করে থাকলে এতদূর এগোতে পারতেন না। অভিযোগটি যারা তুলেছেন, তাদের হয়তো ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকতে পারে। আর যিনি অভিযোগ করেছেন, হয়তো বুঝতে পারেননি এর পরিণতি কতটা বড় হতে পারে।’

 

পোথাস আরও যোগ করেন, ‘খেলোয়াড়দের পিঠে চাপড় মারা এমনিতেই সাধারণ ঘটনা। অনেক সময় ভাষাগত জটিলতার কারণে ইশারার মাধ্যমেই যোগাযোগ করতে হয়।’

 

নিজেও কোড স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগটি আবারও অস্বীকার করেছেন হাথুরুসিংহে। তিনি জানান, চেন্নাইয়ে ম্যাচ চলাকালে মাঠে গ্লাভস পাঠানোর জন্য ডাগআউটে বসে থাকা নাসুমের পিঠে হালকা করে টোকা দিয়েছিলেন মাত্র। তার ভাষায়, “আমি কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে কখনোই ঝগড়া করিনি। খেলোয়াড়দের ওপর আবেগ দেখানো আমার স্বভাব নয়। হতাশা থেকে ডাস্টবিন ছুড়ে ফেলেছি হয়তো, কিন্তু সেটা একেবারেই আলাদা বিষয়।’

 

বরখাস্ত হওয়ার প্রসঙ্গেও বিসিবিকে একহাত নিয়েছেন লঙ্কান এই কোচ। হাথুরুসিংহের দাবি, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এর পেছনে সরাসরি বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের পরিকল্পনা ছিল বলেও অভিযোগ তার। ‘আমি জানি না, গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত কত সুযোগ হারিয়েছি। তারা শুধু আমার চুক্তি বাতিলের পথ খুঁজেছে,’ বলেন হাথুরু।

 

দুই মেয়াদে প্রায় ছয় বছর বাংলাদেশের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করা হাথুরুসিংহে আরও বলেন, ‘ক্রিকেটই আমার জীবন। অথচ আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার সুযোগ না দিয়েই সবকিছু শেষ করে দেওয়া হলো। এটা আমার পেশাদার জীবনের ওপর বিশাল চাপ।’

 

এই বিতর্কের মধ্যেই আবার আলোচনায় উঠে এলেন হাথুরুসিংহে। তবে এবার তাকে ঘিরে নয়, বরং তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিতর্কের সত্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তার ঘনিষ্ঠ সাবেক সহকর্মীরা। তাদের বক্তব্য হয়তো নতুন করে আলো ফেলবে পুরো ঘটনার ওপর।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর