ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি রোববার, ২০২৫ || ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
good-food
১৩

পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার সেরা পাঁচ ওয়ানডে

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৩৭ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  

ওয়ানডে ইতিহাসে সবমিলিয়ে ১৩৫বার মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আরও একবার দেখা হচ্ছে দু’দলের। এএফপি স্পোর্ট পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে সেরা পাঁচ লড়াই তুলে ধরেছে।

 

মিয়াঁদাদের ছক্কা (১৮ এপ্রিল, ১৯৮৬- শারজাহ) 

এশিয়া কাপের ফাইনালে জয়ের জন্য শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। শারজাহর মাঠে ম্যাচের শেষ বলে ভারতের চেতন শর্মাকে ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে ১ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ৩টি করে চার-ছক্কায় ১১৪ বলে অপরাজিত ১১৬ রান করেছিলেন পাকিস্তানের এই কিংবদন্তি ব্যাটার। মরুভূমির মাঠে শেষ বলে মিয়াঁদাদের ছক্কায় পাকিস্তানের জয়, সম্ভবত দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে নাটকীয় ওয়ানডে ম্যাচ। পরবর্তীতে এমন বীরত্বের জন্য সোনার তলোয়ার উপহার দেয়া হয় মিয়াঁদাদকে।

 

ইমরানের আগুন বোলিং ম্লান (২২ মার্চ, ১৯৮৫- শারজাহ) 

চার জাতির টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ইমরান খানের আগুন বোলিংয়ের পরও ভারতকে হারানোর সেরা সুযোগ নষ্ট করে পাকিস্তান। ১৪ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথমে ব্যাট করা ভারতকে ১২৫ রানে গুটিয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন ইমরান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটাই সেরা বোলিং ফিগার তার। কিন্তু ইমরানের সেরা বোলিং ম্লান হয়ে যায় পাকিস্তান ব্যাটারদের ব্যর্থতায়। ১২৬ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে পারেনি পাকিস্তান ব্যাটাররা। ৮৭ রানে গুটিয়ে ম্যাচ হারে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন রমিজ রাজা।

 

জাদেজার বিধ্বংসী ব্যাটিং (৯ মার্চ, ১৯৯৬- ব্যাঙ্গালুরু) 

১৯৯৬ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো পাকিস্তান ও ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় ভারত। ৪২তম ওভারে ক্রিজে আসেন ভারতের অজয় জাদেজা। ব্যাট হাতে পাকিস্তান বোলারদের উপর তান্ডব চালান তিনি। ২৫ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন জাদেজা। শেষ পর্যন্ত  ৮ উইকেটে ২৮৭ রানের সংগ্রহ পায় ভারত।

 

জবাবে ওপেনার আমির সোহেল ও সাইদ আনোয়ারের ৮৪ রানের উদ্বোধনী জুটিতে লড়াইয়ে ছিল পাকিস্তান। ভারতের পেসার ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে বাউন্ডারি মেরে স্লেজিং করেন আমির। কিন্তু পরের বলেই প্রসাদের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর আমিরকে পাল্টা স্লেজিং করেন প্রসাদ। পরবর্তীতে আর কোনও ব্যাটার বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ৯ উইকেটে ২৪৮ রান করে পাকিস্তান। ৩৯ রানের জয়ে সেমিফাইনালে উঠে ভারত।

 

টেন্ডুলকার ঝড় (১ মার্চ, ২০০৩- সেঞ্চুরিয়ন) 

২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাইদ আনোয়োরের সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে যায় টেন্ডুলকারের ব্যাটিং দৃঢ়তায়। আনোয়োরের ১০১ রানের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৩ রান করে পাকিস্তান। জবাবে পকিস্তানের পেস ত্রয়ী ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস এবং শোয়েব আখতারের বোলিংকে তুলোধুনো করেছেন টেন্ডুলকার। তার ৭৫ বলে ১২টি চার ও ১টি ক্কায় ৯৮ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে জয় পায় ভারত।

 

ফখর জামান শো (১৮ জুন, ২০১৭ - লন্ডন) 

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সর্বশেষ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত। ম্যাচটিতে পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের ব্যাটিং তান্ডবে হেরেছিল ভারত। ভারতের জসপ্রিত বুমরাহ, ভুবেনশ্বর কুমার, রবীন্দ্র অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার অনায়াসে খেলেছেন ফখর। তার ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজানো ১১৪ রানের ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৫৮ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির ও হাসান আলি ৩টি করে উইকেট নেন।

খেলাধুলা বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর