ঢাকা, ০৫ মার্চ বুধবার, ২০২৫ || ২০ ফাল্গুন ১৪৩১
good-food

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম-একটানা গেমিং কেড়ে নিচ্ছে শিশুর শ্রবণশক্তি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৫:৫৩ ৫ মার্চ ২০২৫  

বর্তমানে শব্দদূষণের জেরে শ্রবণক্ষমতা দিন দিন যেন বিপন্ন হয়ে উঠছে। পথে ঘাটে গাড়ির আওয়াজ থেকে কনসার্ট ও সাউড সিস্টেমের আওয়াজ অতিষ্ঠ করে তুলছে জীবনযাপন। তবে শিশুদের শ্রবণশক্তি হ্রাস রোধ করতে, মোবাইল ফোন ব্যবহারের প্রতি ক্রমবর্ধমান 'আসক্তি' কমানো এবং গেম খেলার সময় আওয়াজ কম রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। না হলে শিশুরা স্থায়ী শ্রবণশক্তি হ্রাস পাবে। 

 

প্রতি বছর ৩ মার্চ বধিরতা এবং শ্রবণ সমস্যা প্রতিরোধের জন্য বিশ্বজুড়ে একটি সচেতনতামূলক প্রচারণা শুরু করা হয়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা টিভিতে স্ক্রিন টাইম বৃদ্ধি এবং জোরে শব্দে গেম খেলার কারণে বধিরতার সমস্যা দেখা যাচ্ছে, যা পরবর্তীতে স্থায়ী বধিরতায় পরিণত হয়। এই শব্দ দূষণের ঝুঁকিতে শিশুরা সবচেয়ে বেশি। তাদের কানের ক্ষতি রোধ করার জন্য অভ্যাস উন্নত করা এবং সময়ে সময়ে কান পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। 

 

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, উচ্চ শব্দ, গেমিং এবং অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম অর্থাৎ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায় অথবা ব্যক্তি বধির হয়ে যায়। শিশুরা এর সবচেয়ে বড় শিকার। তাই বাবা-মা এবং অভিভাবকদের শিশুদের জন্য এই ধরনের গ্যাজেট এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার সীমিত করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

 

. বাচ্চাদের কানের যত্ন কীভাবে নেবেন? 
সন্তানদের মধ্যে আজকাল নিত্য নতুন আধুনিক যন্ত্র শোনার জন্য নিরাপদ পদ্ধতি গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এছাড়া নিয়মিত ডাক্তারের মাধ্যমে তাদের শ্রবণ ক্ষমতা পরীক্ষা করান। "উচ্চ শব্দ, গেমিং এবং অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইমের কারণে শিশুদের শ্রবণশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ১.৫ বিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ৪০ কোটি মানুষ বধিরতায় ভুগছে। 

 

. কোন মানুষেরা সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে আছে? 
২০৫০ সালের মধ্যে ৬৬ বিলিয়ন মানুষ বধিরতার শিকার হবে এবং এর শিকারদের ৮০ শতাংশ হবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যে ব্যক্তি একেবারেই শুনতে পান না বা স্বাভাবিক মানুষের মতো ভালোভাবে শুনতে পান না, তাকে কম শ্রবণ শক্তি সম্পন্ন বলে মনে করা হয়।

 

বধিরতার সমস্যা ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং যারা নিয়মিত হেডফোনের মাধ্যমে উচ্চস্বরে গান শোনেন, তাদের সকলেরই হতে পারে। যারা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন, অথবা যারা নিয়মিত কনসার্ট বা ক্রীড়া ম্যাচে যোগ দেন। কিছু মানুষ নির্দিষ্ট ওষুধের কারণেও কানের সংক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছেন।