ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩০৬

অবশেষে ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানা গেলো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৫৯ ৪ জুন ২০২৩  

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জনে। বিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন। উদ্ধারকাজ শেষ হলেও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য বগি সরানোর কাজ চলছে।

 

এদিকে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, রেলের সংকেত বিভ্রাটের কারণে ঘটে এ দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দায়ীদের কঠোর শাস্তির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

 

পরিদর্শনের পর মমতা বলেন, ‘দুর্ঘটনার পেছনে কিছু ত্রুটি ছিল। এটি সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিৎ। এ দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমি শুনেছি যে, মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। উদ্ধার অভিযান এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।’
 
 
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওড়িশার বালাসোর জেলার বাহানাগা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সিগন্যালে অপেক্ষমাণ একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেস নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। ফলে যাত্রীবাহী ট্রেনের ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
 

সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস নামে আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন আগেই ওই এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে ছিল। ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত বলছে, কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভুলবশত বালাসোরের বাহানাগা বাজার স্টেশনের লুপ লাইনে (বাড়তি লাইনে) প্রবেশ করে এবং লুপ লাইনের ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনে আঘাত হানে।
 

এর মাঝেই সংলগ্ন লাইনে চলে আসে বেঙ্গালুরু-হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী ট্রেনটি। করমন্ডল এক্সপ্রেসের আঘাতে মালবাহী ট্রেনের উল্টে যাওয়া বগি লাইনের মাঝে পড়ে থাকায় সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটিও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
 
 
তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলেছে, করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। আর বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় ১১৬ কিলোমিটার। এই দুই ট্রেনে প্রায় দুই হাজার যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার কবলে পড়া তৃতীয় মালবাহী ট্রেনটি সেখানে আগে থেকেই স্থির দাঁড়িয়ে ছিল।
 

তদন্ত প্রতিবেদন মতে, প্রধান লাইনে সবুজ সংকেত দেয়া হলেও করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেই লাইনে প্রবেশ করেনি। ট্রেনটি ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। সেখানে আগে থেকে একটি মালবাহী ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল। এই ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে করমন্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়।
 
 
প্রাথমিক এই তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, ‘এর মাঝে ডাউন লাইন দিয়ে বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।’

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর