ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৯৪

অল্প প্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস ডেকে আনে মহাবিপদ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:২৮ ৮ এপ্রিল ২০২১  

অসহ্য ব্যথায় ওষুধ খেতেই হবে। কিন্তু মাথাব্যথা একটু হলো কি না, তাতে তা খেয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকে অনেকের। এ কাজ ঠিক নয়। তাতে উল্টো বিপদ ঘটতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো। ব্যথা যদি সামান্য হয়, তবে তা কমাতে আগেই ওষুধ কেন? কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে দেখা যাক না। কিন্তু এত কথা হচ্ছে কেন? ব্যথার ওষুধে কি ক্ষতি হয়?


খোলাবাজারে যা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়, এর মধ্যে প্রধান হলো এনসেড বা নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গোত্রের ওষুধ৷ যেমন ডাইক্লোফেনাক, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, ন্যাপ্রোক্সেন ইত্যাদি৷ ব্যথা কমানোর পাশাপাশি ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহও কমায় বলে এসব ওষুধে চটজল্দি কাজ হয়৷ অ্যাসিটামিনোফেন বা প্যারাসিটামল ব্যথা কমালেও, প্রদাহ কমাতে পারে না। তা সবচেয়ে নিরাপদ হলেও কার্যকারিতা এনসেড-এর চেয়ে কম৷

 

এবার আসা যাক ক্ষতির কথায়৷ এনসেড গোত্রের ওষুধ পেটের গোলমাল ঘটাতে পারে৷ বদহজম, পেটব্যথার মতো সমস্যা হয়৷ কারও কারও গ্যাসট্রাইটিস হয়৷ আলসার, পাকস্থলি ও অন্ত্রে রক্তপাত হয় কিছু ক্ষেত্রে৷ নিয়মিত ডাইক্লোফেনাক খেলে কারও কারও হার্ট ও রক্তনালির অসুখ হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে৷

 

বয়স যাদের ৬৫-র বেশি, ব্যথার ওষুধ থেকে তাদের সমস্যা হতে পারে। আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস থাকলেও এ ধরনের ওষুধ বেশি থাওয়া সঙ্কটজনক। যারা রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ, স্টেরয়েড বা এসএসআরআই গোত্রের অবসাদ কমানোর ওষুধ খান, তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 


ব্যথার ওষুধ খাওয়ার আগে৷ হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে তা বেশ বিপজ্জনক। কিডনির সমস্যা থাকলেও তা-ই। খেয়াল রাখা ভালো, কার কখন কী থেকে সমস্যা হবে, তা আগে থেকে বলা যায় না৷ কাজেই, নিতান্ত প্রয়োজন না হলে ব্যথার ওষুধ না খাওয়াই ভালো৷ 


ব্যথা কমানোর অন্য পন্থা, যেমন বিশ্রাম, সেঁক বা ফিজিওথেরাপির সাহায্য নেওয়া যায়৷ নিতান্ত প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়ন্ত্রিত মাপের ওষুধ খাওয়া শ্রেয়৷