ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৭৯

অ্যাজমা থেকে বাঁচার উপায়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:০৫ ১৯ নভেম্বর ২০২২  

অ্যাজমার কষ্ট কেবল ভূক্তভোগীই জানেন। আমাদের ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী যে সরু সরু নালীপথ ধুলো, অ্যালার্জি বা দূষণের প্রকোপে কুঁচকে যায়। শ্বাসনালীর পেশী ফুলে ওঠার কারণেই এই সংকোচন হয় ও শরীরে অক্সিজেন কম প্রবেশ করে।

 

তাই শ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জোগান মেলে না। এই অসুখের প্রবণতা যাদের আছে, অনেকক্ষেত্রেই তাদের সারা জীবন এই সমস্যা বহন করতে হয়, সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না। তবে খাওয়াদাওয়া ও জীবনযাপনের বেলায় কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে অ্যাজমাকে দূরে রাখা সম্ভব-

 

যা করবেন

যে ঘরে অ্যাজমার রোগী থাকেন, সে ঘরে যাতে যেন যথেষ্ট আলো-বাতাস ঢোকে, সে দিকে নজর রাখুন। নিয়মিত ঘর পরিষ্কার রাখুন, ধুলো যত কম থাকবে রোগী তত ভালো থাকবেন। যখনই রাস্তায় বের হবেন, নাক-মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহার করুন। সেই মাস্কও যাতে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

 

জামাকাপড় পরিষ্কার রাখুন। কোনোভাবে সংক্রমিত রোগীর সামনে গেলে বাড়ি ফিরে ভালো করে নিজেকে পরিষ্কার করুন। প্রয়োজনে চিকিত্‍সকের সঙ্গে কথা বলে নিন। সম্ভব হলে বিছানার চাদর নিয়মিত পাল্টান, রোজ তা সম্ভব না হলেও অন্তত দু'-তিন দিন পরপর তা বদলে দিন ও পরিষ্কার চাদর পাতুন। শীত ও বর্ষায় বাড়তি সতর্কতা নিতে বালিশের কভারও বদলে দিন। শীতে রোদে দিন বালিশ-কম্বল।

 

বাড়িতে পোষা প্রাণি থাকলে সাবধান হোন। অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ তো রাখতেই হবে, সঙ্গে নিজেকেও হতে হবে সাবধান। এদের মল-মূত্র বা লোম থেকে অসুখের সম্ভবনা বাড়ে।

 

যা খাবেন

অ্যাজমা রুখতে কেবল জীবনযাত্রায় সতর্ক হওয়াই শেষ কথা নয়। বরং সাবধান হতে হবে খাওয়াদাওয়ার প্রতিও। এই অসুখ ঠেকাতে বা অসুখের প্রবণতা কমাতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে পাঁচটি করে আপেল খেলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা কমে প্রায় ৩২ শতাংশ।

 

খাবার পাতে রাখুন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ। এদের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রঙ্কিয়াল ইনফ্লামেশনকে (ফুসফুসের প্রদাহ) কমাতে সাহায্য করে। শরীরে রোগ প্রতিরোধে উপযোগী হিসাবে বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গাজর খান। এর ভিটামিন এ ক্যারোটিন শরীরে অসুখের হানার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।

 

দুধের ম্যাগনেশিয়াম অ্যাজমার সঙ্গে লড়াই করার জন্য খুবই উপযোগী। দুধে কোনোরকম সমস্যা তৈরি না হলে দুধ রাখতেই পারেন পাতে। দুধে সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত দ্রব্য রাখুন পাতে। ডায়েটে রাখুন অ্যাভোকাডো ও স্ট্রবেরির মতো ভিটামিনসমৃদ্ধ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টকেও।