ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪১৩

অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর যেসব খাবার ভুলেও খাবেন না

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৪৬ ২৮ জুলাই ২০২১  

যেকোনো ধরনের একটু বেশি অসুস্থতার জন্যই আমরা ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডাক্তার প্রথমেই যে ওষুধটি দেন সেটি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। এই ওষুধটি সাধারণত পানির সাথে খেতে হয়। কারণ, যদি ফলের জুস বা অন্য কোনও ধরনের দুগ্ধ জাতীয় খাবারের সাথে সেটা খাওয়া হয়; তাহলে এর কার্যকারিতার বিপরীত ফল হতে পারে।

 

এ ছাড়া যখন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া হয়, তখন কিছু ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এখানে কিছু খাবারের তালিকা দেয়া হল যা চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অবশ্যই বর্জন করতে হবে। অন্যথায় সেটা ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে।

 

বলা হয়ে থাকে, ওষুধের সাথে সেই খাবারগুলো সম্ভাব্য ৩টি উপায়ে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে। প্রথমত, এগুলো দেহে ওষুধের শোষণকে বাধা দেয়। দ্বিতীয়ত, ওষুধ থেকে দেহে শোষিত হওয়ার হারের গতি ধীর করে দেয়।

 

সবশেষে দেহে ওষুধের ভাঙনে প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় অবশ্যই উচিত সঠিক খাবার গ্রহণ করা। এবার দেখে নিন কোন কোন খাবার এই সময় বর্জনীয়।

 

অম্ল জাতীয় খাবার

যখন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া হয়, তখন প্রথম যে খাবারটি বর্জন করতে হবে; তা হলো উচ্চমাত্রার অম্ল জাতীয় খাবার। চকলেট, বাদাম, টক ফল, টমেটো এই জাতীয় খাবারগুলো দেহে ওষুধ শোষিত হতে বাধা দেয়।

 

দুগ্ধ জাতীয় খাবার

দই ছাড়া অন্য সব দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া অ্যান্টিবায়োটিক চলার সময় বন্ধ রাখতে হবে। দুধ, পনির ইত্যাদিতে উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়াম থাকে যা অ্যান্টিবায়োটিক শোষণে বাধা দেয়। তবে দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকের জন্য তা অ্যান্টিবায়োটিকের উপর কোনও প্রভাব ফেলে না।

 

অ্যালকোহল

চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কখনই অ্যালকোহল গ্রহণ করা যাবে না। অ্যালকোহলের মাঝে থাকা কিছু বৈশিষ্ট্যের জন্য ওষুধের কার্যকারিতায় মারাত্বক প্রভাব ফেলে।

 

আঁশ জাতীয় খাবার

আঁশ জাতীয় খাবারের কিছু বৈশিষ্ট্য পাকস্থলিতে খাবার শোষণের গতিতে ধীর করে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নির্দিষ্ট সময় নিয়ে পাকস্থলিতে ভাঙে। কিন্তু তখন যদি উচ্চ পরিমাণে আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়া হয়, তাহলে তখন সেই ওষুধ ভালোভাবে কাজ করে না।

 

কফি

যখন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া হয়; তখন অবশ্যই যেসব পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে তা বর্জন করতে হবে। চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দেহের জন্য তখন তা বিষের মত।

 

অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট

এই সময় যেসব খাবারে অতিমাত্রায় আয়রন ও ক্যালসিয়াম থাকে তা বর্জন করতে হবে। কারণ, এটি ওষুধের শোষণে হস্তক্ষেপ করে। সতর্ক হন, সুস্থ থাকুন।