ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৯৪৩

আগুন লাগলে সেলফি নয়, এক বালতি পানি আনুন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৩৯ ৫ এপ্রিল ২০১৯  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় দেখি মানুষজন সেলফি তোলায় মহাব্যস্ত হয়ে পড়েন। আনন্দ-উল্লাসে মাতেন। সেটা না করে এক বালতি পানি আনতে পারেন। আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করতে পারেন।

শুক্রবার বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চৈত্র-বৈশাখে অগ্নিকাণ্ডের প্রবণতা বেশি থাকে। কয়েকটা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে জোরপ্রচেষ্টা চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাসত্ত্বেও তাদের দুয়ো শুনতে হচ্ছে। ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিসের ওপর কিছু মানুষ চড়াও হন। তাদের গাড়ি পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছেন। একেকটা গাড়ির দাম অনেক। চেষ্টাকারীদের বাধা দেয়া ও মারা মোটেও শোভা পায় না। এসব না করে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারতেন তারা।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের একজন আহত হয়েছেন। তবু আগুন লাগলে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এক কম বয়সী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ সঙ্কটে ভুগছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা স্বেচ্ছাসেবক হয়ে কাজ করেছে। সাধারণ কিছু মানুষ দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের মতো হোন সবাই।

শেখ হাসিনা বলেন, মিডিয়া দেখলেই মানুষ ভিড় জমান। সেটাও সবাইকে বুঝতে হবে। আগে ঢাকায় খাল-বিল ছিল। এখন সব ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও পানি নেই। বড় ভবন, দালানকোঠা নির্মাণের আগে পাশে জলাধার রাখতে হবে।

তিনি জানান, আগে বনানীতে অনেক খাল-বিল, পুকুর ছিল। বনানী এখন বিএনপি পল্লী হয়ে গেছে।তারা ক্ষমতায় আসার পর ভরাট করে প্লট বানিয়েছে। জিয়া ও এরশাদের আমলে গুলশান লেক ভরাট করে প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। ভবন নির্মাণের সময় জরুরি এক্সিট গেট রাখতে হবে। আগুনে যারা স্বজন হারিয়েছেন সেই পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঝড়ঝাপটা ও নানা দুর্যোগের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন হঠাৎ করেই আমেরিকা একটি সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। ঠিক কী কারণে এই সিকিউরিটি অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে, সেটি আমাদের জানা নেই। তাই অ্যালার্ট জারির আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা উচিত। তারপরও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি, কেন এই সিকিউরিটি অ্যালার্ট।

 

শেখ হাসিনা বলেন, কিন্তু হঠাৎ করে আগুন লাগার কারণেই কি এই অ্যালার্ট? আমেরিকা-লন্ডনেও তো আগুন লেগে অনেক মানুষ মারা যায়, সেসব দেশে তো আমাদের মতো এত সময় দিয়ে উদ্ধার অভিযানও চালানো হয় না। তাহলে কেন এই অ্যালার্ট, সেটিও জানানো উচিত।

তিনি বলেন, কারণ সন্ত্রাসবাদের সমস্যা সারা বিশ্বেরই। একটি ঘটনা ঘটলে তার প্রভাবও সারা বিশ্বে পড়ে। তাই আমেরিকার কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা দ্রুত কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত।

 

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইন্টেলিজেন্স ও প্রশাসন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে তাদের সহায়তায় আমরা বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত করেছি।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর