ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫২৮

আতঙ্কিত নয়, সচেতন হোন

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:০৮ ২৭ মার্চ ২০২০  

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ :  করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। করোনাভাইরাস বর্তমানে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে। এর বিস্তার রোধে ভয়াবহ ঊর্ধ্বমুখী রেখাটিকে সমান্তরালে আনা সম্ভব হবে যদি আমরা প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাই এবং ঘরে অবস্থান করি।


করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে এটি আরও অনেক লোকের ক্ষতিসাধন করবে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে যেখানে হাসপাতালের বিছানা সীমাবদ্ধ, অপ্রতুল ICU ও কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের যন্ত্র অপ্রতুল, সেখানে করোনা প্রতিরোধ আমাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি বিষয়। মনে রাখতে হবে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শতকরা ৯০ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।

করোনা যুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন চিকিৎসকরা। করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে ইতিমধ্যে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক প্রাণ দিয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট হাসপাতালগুলোতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় Disposable বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা অতীব প্রয়োজন।

চিকিৎসকরা সেবাদানকালে আত্মরক্ষার সরঞ্জামাদি পরিধান করেই চিকিৎসা সেবা দেয়ার ব্যাপারে সর্তক থাকবেন। চক্ষু বিশেষজ্ঞসহ সব চিকিৎসদের শুধুমাত্র জরুরি সেবা ব্যতীত রুটিন সেবা বন্ধ করা উচিত, যেন জনসমাগম এড়ানো যায়। জরুরি বিষয়টি চিকিৎসকের বিচার-বিশ্লেষণ দ্বারা নির্ধারিত হবে।

‘Stay home, stay safe’ অর্থ্যাৎ ঘর থেকে বের না হলেই আমরা নিরাপদ থাকব। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হব না। একজন থেকে আরেকজনের ন্যূনতম ১ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার, হাঁচি, কাশি এলে রুমাল বা টিস্যুর ব্যবহার, হ্যান্ড শেক না করা, কোলাকুলি না করা, বিয়ের অনুষ্ঠান বা বিনোদন বা পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে ৭ জনের বেশি একত্রিত না হলে করোনার বিস্তার ঠেকানো যাবে।

জনসমাগমে অংশ নিলে আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ভঙ্গ হবে এবং সম্ভাব্য রোগের বিস্তারে আমরা ভূমিকা রাখব। এই রোগটি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই কারনে যে, এ রোগের সহজলভ্য চিকিৎসা ও প্রতিষেধক এখনও অনুপস্থিত।

বর্তমান অবস্থায় আমাদের অস্তিত্বের সংকট। এ পরিস্থিতিতে চিকিৎসক হিসেবে আমরা সেবা চালিয়ে যাবো। আমাদের সহকর্মী, সমাজ, পরিবার ও দেশের সুরক্ষায় আমরা বীরোচিত ভূমিকা পালন করব। এক্ষেত্রে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা অতীব জরুরি।

 

লেখক : অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

চেয়ারম্যান, কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগ, সাবেক মহাসচিব বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, সাবেক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়