ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮১০

আনিসুল হকসহ প্রথম আলোর ৫ জনের মালামাল ক্রোক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:০২ ২ সেপ্টেম্বর ২০২০  

‘কিশোর আলোর’ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে নাইমুল আবরার রাহাতের (১৫) মৃত্যুর মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকীটির সম্পাদক ও লেখক আনিসুল হকসহ ৫ জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম এ আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন প্রবীর বকুল, শুভাসিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল ও শাহ পুরান তুষার। মালামাল ক্রোকের পরোয়ানা তামিলের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ১৬ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ অন্য ৫ আসামি জামিন নেন।

এর আগে নাইমুল আবরারের মৃত্যু হওয়ায় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আলিম এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এতে ঘটনার জন্য মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়া কবির বকুল, শুভাসিষ প্রামাণিক শুভ, মুহিতুল আলম পাভেল, শাহ পুরান তুষার, জসিম উদ্দিন তপু, মোশারফ হোসেন, মো. সুমন ও কামরুল হওলাদারকে দায়ী করা হয়।

বাদি পক্ষের আইনজীবী আসিফ ওমর ফারুক বলেন, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছিল। একইসঙ্গে এ ঘটনায় আর কারা জড়িত এবং কার কি দায় রয়েছে তা তদন্ত করার জন্য আবেদন জানানো হয়। 

স্বল্প সময়ের মধ্যেই এ মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। যেই ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল সেই ধারাতেই কিশোর আলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ১০ জনকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

গত বছর ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নাইমুল আবরার রাহাতের মৃত্যু হয়। সে ওই কলেজেরই নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওই দিন বিকালে বিদ্যুতায়িত হলে তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর গত বছর ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক এবং কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।

ওই দিন আদালত শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের লাশ দ্রুত কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এ ঘটনায় হওয়া অপমৃত্যুর সঙ্গে নতুন মামলা একীভুত করে তদন্ত করতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মিডিয়া বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর