ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর রোববার, ২০২৪ || ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
good-food
৮৬

আন্দোলনে উত্তাল সারাদেশ : সংঘর্ষ গুলিতে ১০জন নিহত

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৬:৪১ ১৮ জুলাই ২০২৪  

 

কোটা সংস্কার নিয়ে সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) আরও ১০ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৭ জন, সাভারে ১ জন, মাদারীপুরে ১ জন এবং নরসিংদীতে ১ জন নিহত হয়েছেন।


 মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা সংস্কার নিয়ে সংঘর্ষে ৬ শিক্ষার্থী প্রাণ হারান। এ নিয়ে এ পর্যন্ত কোটা নিয়ে সংঘর্ষে সারাদেশে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হলো।

রাজধানীর উত্তরা-আজমপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪ জনের মরদেহ রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে  রয়েছে।

সারা দেশে ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলন করছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছে।

শাটডউন কর্মসূচিতে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে ৪জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।  হস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টায় উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীদের দিকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। 


দাবি আদায়ে শাটডউন কর্মসূচিতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। উত্তরা আজমপুর এলাকায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের গুলিতে এ পর্যন্ত ৪জন শিক্ষার্থী মৃত্যুর খবর মিলেছে। 
সকাল সোয়া দশটায় ব্রাক ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা বিক্ষোভ করে রাস্তায় নেমে আসে। এরপর ইস্টওয়েস্ট, নর্থ সাউথ ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা মিছিল সহকারে রাজপথে অবস্থান গ্রহণ করে।  উত্তরার আজমপুর বাস স্ট্যান্ডের দিকে অবস্থান নেয় তারা। অন্যদিকে বিএসএস সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা বিএনএস সেন্টারের দিকে আগালে পুলিশ তাদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় কোটা আন্দোলনকারীরা।
পরে আবার সংঘবদ্ধ হয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা রামপুরা টিভি সেন্টারে অগ্নিসংযোগ করে। মিরপুর ১০ নম্বর দফায় দফায় সংঘর্ষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ৭টি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়। 

কোটা আন্দোলনকারীদের ডাকে চলা “শাটডউনে” শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালায় ছাত্রলীগ।  এ ছাড়াও রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর, শনির আখড়া, কাজলা ও যাত্রাবাড়ী, মেরুল বাড্ডাসহ আরও কিছু জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আবার কোথাও কোথাও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ  চলে।

 বুধবার ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন আসিফ মাহমুদ।


 

বাংলাদেশ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর