ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫৩৩

আড়াই কোটি শিশুকে খাওয়ানো হলো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৮:৫৬ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

সারাদেশে প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

সকালে ঢাকা শিশু হাসপাতালে বেলুন উড়িয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। পরে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত শিশু হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে এ ক্যাম্পেইন বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবার শিশুদের খাওয়ানো হয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল । যে ভিটামিন খাওয়ানো হয়েছে তা সম্পূর্ণ নিরাপদ। সারাদেশে প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। তাই এ বিষয়ে আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে পারি না।

এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফী আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আমি মা’দের বলব, ক্যাপসুলটি খাওয়ানোর আগে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ান, সুষম খাদ্য খাওয়ান। কেননা শিশুর পেট ভরা থাকলে টিকা খাওয়ানোর পর কোনো জটিলতা সৃষ্টি হবে না।

গেল ১৯ জানুয়ারি ছিল ভিটামিন ‘এ’ ক্যাম্পেইনের নির্ধারিত দিন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আমদানিকৃত ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় স্বাস্থ্য অধিদফতর কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পেইন স্থগিত করে।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ সাত হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ ২০ হাজার কেন্দ্রে বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, ফেরীঘাট, ব্রীজের টোল প্লাজা, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু ব্রীজ, দাউদকান্দি ও মেঘনা ব্রীজ, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, খেয়াঘাট ইত্যাদি স্থানে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে কমপক্ষে ২ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী দায়িত্ব পালন করে।

এছাড়া দুর্গম এলাকা হিসেবে চিহ্নিত ১২টি জেলার ৪৬টি উপজেলার ২৪০টি ইউনিয়নে ক্যাম্পেইন পরবর্তী ৪ দিন (রোববার থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি) বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্চিং কার্যক্রম পরিচালনা করে বাদ পড়া শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।