ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৮৮

আয়ের উৎস যখন আড়িয়ল বিলের শাপলা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১০:৫৪ ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

বর্ষা মৌসুমে কৃষকের হাতে তেমন কাজ থাকে না। এ সময়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। মুন্সিগঞ্জের প্রান্তিক কৃষক জাতীয় ফুল শাপলা থেকে খুঁজে পেয়েছে আয়ের উৎস। ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০০ একর আয়তনের আড়িয়ল বিলে শুষ্ক মৌসমে আলু-ধানসহ বিভিন্ন সবজি উৎপাদন হলেও শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে জন্ম নেয় শাপলা।

 

প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া শাপলা বিল থেকে সংগ্রহ করে তা বিক্রি করছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। এতে একেকজন কৃষকের প্রতিদিন গড়ে আয় হচ্ছে ৯০০-১ হাজার ৩০০ টাকা।

 

সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের পাশে স্তূপ করা রাখা হয়েছে শাপলা। নৌকা থেকে রাজধানীতে পাইকারি বিক্রির উদ্দেশ্যে শাপলা তোলা হচ্ছে পিকআপ ভ্যানে। দয়হাটা, শ্যামসিদ্ধি, গাদিঘাট, শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালী, মদনখালী, আলমপুর, কেউটখালী, মোহনগঞ্জ, কামারগাঁও, জগন্নাথপট্টি, কাঁঠালবাড়ী, মহতপাড়া এলাকায় এখন জমজমাট ভাসমান শাপলা বিক্রির হাট।

 

সাধারণত আষাঢ় মাস থেকে শুরু করে কার্তিক পর্যন্ত পাওয়া যায় শাপলা। এ সময় এলাকার শাপলা সংগ্রহকারী কৃষক ভোরবেলায় নৌকা নিয়ে ডুবে যাওয়া জমি ও বিলের মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাপলা সংগ্রহ করে। তবে মৌসুমের শেষ অর্থাৎ কার্তিক মাসের শেষ দিকে শাপলা তেমন পাওয়া যায় না।

 

শাপলা সংগ্রহ করা মোহাম্মদ হোসেন জানান, একজন কৃষক প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ মোঠা (৭০-৮০ পিস শাপলায় এক মোঠা) শাপলা সংগ্রহ করতে পারেন। একটা সময় ছিল যখন অভাবী মানুষ শাপলা খেয়ে জীবন বাঁচাতেন। এখন শাপলা একটি মজাদার খাবারে পরিণত হয়েছে। গরিব বা মধ্যবিত্তের মধ্যেই শাপলার তরকারি সীমাবদ্ধ নেই। এখন ধনী পরিবারেও শখ করে শাপলা তরকারি খাওয়ার রসনা বেড়েছে।

 

শাপলা সংগ্রহকারী কৃষক শংকর দাস বলেন, ‘শাপলা একটি ভালো সবজি এবং এতে প্রচুর আয়রন রয়েছে, যা রক্ত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে ভিটামিন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই অসুস্থ রোগীদের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে  শাপলা কিনতে ছুটে আসে।