রাজধানীর উত্তরার জসীমউদ্দিনে উড়ালসড়কের বক্সগার্ডার পড়ে চিড়ে চ্যাপ্টা প্রাইভেটকারে নিহত রুবেল হাসান (৬০) সাতটি বিয়ে করেছেন। মর্গের সামনে এসে একে একে তার মরদেহ দাবি করছেন স্ত্রীরা। এসব স্ত্রীর কয়েকজনের সঙ্গে রুবেল হাসানের সন্তানও আছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে দেখা যায়, স্ত্রীরা সবাই রুবেলের মরদেহ দাবি করছেন। তাদের সঙ্গে সন্তানরাও এসেছে। তবে স্ত্রীদের একজন আরেকজনের বিয়ের ব্যাপারে কিছু জানেন না। এমনকি এমনটি হতেই পারে না বলেও দাবি করছেন।
শাহিদার বাড়ি মানিকগঞ্জে। লতা গাজীপুরের। পুতুল মিরপুর ১০-এর। আর নারগিস ঢাকার দোহারের। শাহিদার দাবি তার সন্তান আছে। সেই সন্তানের নাম সানজিদা আক্তার রত্না। সে বলছে, বাবার সম্পদের জন্য অনেকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন। এতগুলো স্ত্রী আমরা আগে জানতাম না। আজকে এসে জেনেছি।
তাসলিমা আক্তার লতা দাবি করেন, রুবেলের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছে তার। নারগিসের সন্তান নিপা বলছে, বাবার ছয় বিয়ে জানতাম। বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কম। মায়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে। সে এখন বিষ্মিত বাবার আরও বিয়ের কথা শুনে।
নিপা আরও বলছে, যেহেতু অনেকেই দাবিদার, এজন্য আমার দাদার এলাকায় নিতে চাই বাবার মরদেহ। সেখানেই দাফন করা হোক। নারগিস জানান, তিনি দেশের বাইরে ছিলেন। বছর দুয়েক আগে দেশে ফেরেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার উপরে তোলার সময় নিচে পড়ে যায়। এতে চলমান একটি প্রাইভেটকার সঙ্গে সঙ্গে দুমড়ে-মুচড়ে চ্যাপ্টা হয়ে যায়। গাড়িটিতে মোট সাতজন ছিলেন। পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান হৃদয় ও রিয়া দম্পতি। নিহতরা হলেন-হৃদয়ের বাবা রুবেল, হৃদয়ের শাশুড়ি ফাহিমা খাতুন (৪০), ফাহিমার বোন ঝরণা আক্তার (২৮) এবং ঝণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।