ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি বুধবার, ২০২৫ || ২ মাঘ ১৪৩১
good-food
১৬

এইচএমপিভি: কী কী উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন? বিস্তারিত জানালো হু

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫২ ১৪ জানুয়ারি ২০২৫  

চারদিকে জেঁকে বসেছে শীত। এই কনকনে ঠাণ্ডায় জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা যেন পিছু ছাড়তেই চায় না। তাই শীতের দিনগুলোতে স্বাস্থ্যের দিকে অতিরিক্ত যত্ন নেয়া প্রয়োজন। 

 

এদিকে হু হু করে বাড়ছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ। চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস এখন ভারতেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় এই সংক্রমণ নিয়ে সর্বত্র উদ্বেগের পরিবেশ। অনেকেই এটিকে করোনার মতোই বিপজ্জনক মনে করছেন। যদিও এটি ততটা বিপজ্জনক নয় বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। 

 

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ভাইরাস মূলত ঠাণ্ডার মৌশুমে ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচএমপিভি গুরুতর হলে ফুসফুসে পৌঁছে নিউমোনিয়ার কারণ হতে পারে। সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাসেও সমস্যা সৃষ্টি করে। অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিজেই এই বিষয়ে একাধিক তথ্য দিয়েছে। 

 

সম্প্রতি হু জানিয়েছে, এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এই ভাইরাস কোনও ধরনের মহামারী সৃষ্টি করবে না। তবে এটি এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া সময়মতো এটি শনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

 

এমন পরিস্থিতিতে এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে এমন কিছু লক্ষণ সম্পর্কে বলব যা এইচএমপিভি শনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে। 

 

এইচএমপিভির লক্ষণগুলো কী কী- 

পেশী ব্যথা 

শীতের দিনে পেশীতে ব্যথা খুবই সাধারণ। কিন্তু এটিও এইচএমপিভির লক্ষণ হতে পারে। এইচএমপিভির মতো ভাইরাল সংক্রমণের ফলে সাধারণ পেশী ব্যথা এবং যন্ত্রণা হতে পারে। তাই শরীর বা পেশীতে অপ্রয়োজনীয় ব্যথা উপেক্ষা করবেন না। এমন হলে তখনই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

 

মাথাব্যথা 

বর্তমানে মাথাব্যথা কমবেশি সবারই হয়। যা সাধারণ ভেবে অনেকেই উপেক্ষা করেন। তবে এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের সময় এই লক্ষণ একেবারেই উপেক্ষা করবেন না। এই ব্যথা এইচএমপিভি-র লক্ষণও হতে পারে। এই ভাইরাস ডিহাইড্রেশন বা সাইনাসের চাপের মতো সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে, যা সাধারণত ফ্লুর মতো লক্ষণগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত। 

 

ক্লান্তি 

অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করাও এইচএমপিভির একটি লক্ষণ। মূলত ভাইরাসের সাথে লড়াই করার সময়, আপনার শরীর তার সমস্ত শক্তি ব্যবহার করে, যা শরীরকে খুব দুর্বল করে তোলে। এর কারণে আমরা খুব ক্লান্ত বোধ করি। এসব লক্ষণ দেখলেই যোগাযোগ করুন নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। 

 

গলা ব্যথা ও শ্বাস নিতে অসুবিধা

এই ভাইরাস মূলত আপনার ফুসফুসকে প্রভাবিত করে। ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্টও এইচএমপিভির লক্ষণ। এছড়া গলা ব্যথাও এইচএমপিভির একটি প্রধান লক্ষণ। ভাইরাসের কারণে গলার আস্তরণের জ্বালাপোড়া প্রায়শই গলায় চুলকানি বা ব্যথার কারণ হতে পারে। যা গিলতে অস্বস্তিকর বা বেদনাদায়ক করে তোলে। 

 

কাশি 

এইচএমপিভি সাধারণত কাশি সৃষ্টি করে। এই ভাইরাস শ্বাসনালীর প্রদাহের কারণে শুষ্ক বা উৎপাদনশীল কাশি সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনার দীর্ঘদিন ধরে কাশি থাকে, তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না।

 

নাক বন্ধ বা সর্দি 

নাক বন্ধ হওয়া বা নাক দিয়ে পানি পড়া এইচএমপিভির একটি খুবই সাধারণ লক্ষণ। সাধারণ সর্দি-কাশির মতো, এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হলে শরীর যখন শ্বাসযন্ত্র থেকে ভাইরাসটি বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। যা থেকেই ঠাণ্ডা লাগে। 

 

জ্বর 

এইচএমপিভি সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বরও হতে পারে। যদি আপনার একটানা জ্বর হয়, তাহলে এটাকে মোটেও হালকাভাবে নেবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 

স্বাস্থ্য বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর