ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৭৮

এবার অভিনেত্রী শিমু হত্যার ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে এলো

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:৩৬ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও তার বন্ধু এস এম ফরহাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের আসামি করে মামলা হয়।

 

এ মামলায় অভিনেত্রীর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, শিমুকে হত্যার জন্য বন্ধু ফরহাদকে নির্দেশ দেন নোবেল। পরিপ্রেক্ষিতে ধরতে গেলে ফরহাদকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন শিমু। পরে শিমুর গলা ধরতে যায় নোবেল। তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন অভিনেত্রী।

 

পরবর্তীতে একসঙ্গে শিমুর ওপর চড়াও হন নোবেল ও ফরহাদ। এসময় শিমুর গলা চেপে ধরেন ফরহাদ। আর অভিনেত্রীর দুই হাত ধরেন নোবেল। এতে ফ্লোরে পড়ে যান শিমু। পরে শিমুর গলায় পা দিয়ে দাঁড়ান নোবেল। একপর্যায়ে প্রস্রাব হয় অভিনেত্রীর। আর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যান তিনি।

 

শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরবর্তীতে অভিনেত্রীর আঙুলের ছাপ নেয়া হয়। এতে তার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়। পরের দিন রাত ৪টায় রাজধানীর কলাবাগানের ৩৪ গ্রীন রোড থেকে শিমুর স্বামী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

 

অভিনেত্রী শিমু ও নোবেলের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে মেয়ের বয়স ১৫ বছর এবং ছেলের বয়স ৭ বছর। এ ঘটনায় শিমুর বড় ভাই হারুন অর রশিদ অভিনেত্রীর স্বামী নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে বস্তার সুতার সূত্র ধরে খুনের রহস্য উদঘাটন করা হয়।

 

অভিনেত্রীর ছোট বোন ফাতেমা নিশা জানান, শিমুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন নোবেল। তাদের দাম্পত্য জীবনে তেমন কোনো কলহ ছিল না।

 

১৯৯৮ সালে সিনেমায় পথচলা শুরু হয় শিমুর। কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু তার। ক্যারিয়ারে প্রায় ২৫টি সিনেমা ও অর্ধশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

বিনোদন বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর