ঢাকা, ১৮ অক্টোবর শুক্রবার, ২০২৪ || ৩ কার্তিক ১৪৩১
good-food
১৭৯

এবার বান্ধবীর সঙ্গে মতিউরের অডিও ফাঁস, নতুন করে তোলপাড়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০১:০২ ৬ জুলাই ২০২৪  

মতিউর : ‘তোমার কাছে ... চাই, কখন দিতে পারবা? 

আরজিনা : আজকে...!

মতিউর : আজকের প্রোগ্রাম ঠিক আছে?

আরজিনা : আজকে... কালকে যাই। আজ শুক্রবারতো, মানে কি বলে বের হব, কোনো ইয়ে পাচ্ছি না। বাসায় আছেতো। কালকে হলে ভালো হয়। কালকেতো থাকবা ঢাকায়। 

মতিউর : দীর্ঘশ্বাস... ঠিক আছে। কালকে মনে হয় পারব না। 

আরজিনা : কষ্ট পেলে... মানে শুক্রবারতো, কোনো ইয়ে খুঁজে পাচ্ছি না। বাইরে যে থাকব, আবার মাইন্ড... মানে যদি কোনো সন্দেহ তৈরি হয়।

মতিউর : ফের দীর্ঘশ্বাস... ওকে।

 

উল্লেখিত কথাগুলো ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তারই অধস্তন নারী কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের।  ইতোমধ্যে মোবাইল ফোনে আলাপচারিতার সেই স্পর্শকাতর অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। এতে তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, শুধু মতিউরের বান্ধবী হিসেবে অনৈতিক সুবিধা হাসিল করেছেন আরজিনা। অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। ঢাকায় অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট, গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি, ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ নামে-বেনামে গড়েছেন বিপুল সম্পদ। তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ গড়িয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পর্যন্ত। 

 

নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে আত্মগোপনে থাকা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে রবিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর পরিবারের ১ হাজার ১৯ শতাংশ জমি ও চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

 

আরজিনা বর্তমানে রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার ছিলেন তিনি।  ১০ জুন তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের খতিয়ান তুলে ধরে দুদকে অভিযোগ জমা দেন এক ব্যক্তি। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানি লন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগসাজশে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। 

 

মতিউরের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে পান আরজিনা। তরতর করে বাড়তে থাকে তার সম্পত্তি। মতিউরের সঙ্গে একই ব্রোকারেজ হাউজে শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। কারসাজি করে মতিউরই আরজিনাকে শেয়ার বাজারে মুনাফা তুলে দেন। মতিউর-আরজিনার মোবাইল ফোনালাপের অডিও রেকর্ড হাতে আসার পর তাদের মধ্যে স্পর্শকাতর অশ্লীল কথাবার্তার ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে।

 

এ প্রসঙ্গে আরজিনা বলেন, ‘আমি আসলে যড়যন্ত্রের শিকার। আমার এক্স হাজবেন্ড একটা মামলা করেছেন, আমি একটা করেছি। আসলে সব মিলিয়ে আমি খুব বিপর্যস্ত। আমি তাকে ডিভোর্স দিয়েছি, তাই উনি ক্ষিপ্ত হয়ে এগুলো করছেন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই একটি মহল এই চক্রান্ত করছে।’

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার আগে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মতিউর রহমান পরিবারের নানা অপকীর্তি ও বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য সামনে আসতে থাকে।

অপরাধ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর