ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪৩

এশিয়ার ধনকুবেররা কে কত সম্পদ দান করছেন?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৩৫ ১৯ এপ্রিল ২০২০  

মরণঘাতি কোভিড-১৯ কাবু করে ফেলেছে সারাবিশ্বকেই।  ভেঙ্গে পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতি।  কমে যাচ্ছে উৎপাদন। ব্যবসা-বাণিজ্যে যে পরিমাণ ধ্বস নামছে, তা সামলানো কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে সাধারনদের জন্য। ধনী-প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলোও হিমশিম খাচ্ছে এর মারাত্মক ছোবল মোকাবিলায়। 

 

করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় বিশ্বের অন্যদের মতো এশিয়ার ধনী ব্যবসায়ী নেতা ও কোম্পানিগুলো যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


উল্লেখযোগ্য হারে আর্থিক সহায়তা দিয়ে এগিয়ে আসছেন বিলিয়নিয়র, কোম্পানির মালিক, উদ্যোক্তা ও ধনী ব্যবসায়ীরা। ফোর্বস ম্যাগাজিন এশিয়ার ধনকুবেররা কে কত সম্পদ দান করছেন তার একটি বর্ণনা দিয়েছে।

 

অ্যান্ড্রু ফরেস্ট :

অস্ট্রেলিয়ার এ খনি বিলিয়নিয়ার ৩২ কোটি ৪০ লাখ ডলার ও ১০ কোটি মেডিকেল সরঞ্জাম দানের ঘোষণা দিয়েছেন।

 

মুকেশ আম্বানি :

রিলায়েন্স কোম্পানির মালিক মার্চে মুম্বাইয়ের সেভেন হিলস হাসপাতালে ভারতের প্রথম ১০০ শয্যার কোভিড-১৯ কেন্দ্র তৈরি করেছেন। ভারতের শীর্ষ এ ধনী দৈনিক এক লাখ মাস্ক উৎপাদন ও বহু শহরে ফ্রি খাদ্য বিতরণ করছেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া নিজ বাড়ি গুজরাট ও মহারাষ্ট্র রাজ্যের জন্য ৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে দান করেছেন।

 

জে লি :

স্যামসাং গ্রুপের মালিক বৈশ্বিক ত্রাণ হিসেবে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার দান করেছেন। এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ জার্সি ও টেক্সাসের জন্য ৪০ লাখ ডলার দান করেছেন।

 

আবোইতিজ পরিবার :

ফিলিপাইনের আবোইতিজ গ্রুপ মার্চ পর্যন্ত ৫ হাজার ৭০০ এন৯৫ মাস্ক, ১৫ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সদের সুরক্ষায় অন্যান্য সরঞ্জাম দান করেছে।

ওই গ্রুপের চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের সদস্যরা গ্লাভস, থার্মোমিটার, সুরক্ষা চশমা ও তাঁবু দান করেছেন। এ পরিবারের এরামন আবোইতিজ ফিলিপিন্সের ৪৩তম ধনী।

 

অনিল আগারওয়াল :

ধাতব খনি ম্যাগনেট ভেদান্তা গ্রুপ মোদির তহবিলে ২ কোটি ৬৫ লাখ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভেদান্তা গ্রুপ এপ্রিলে এক লাখ মাস্ক ও পরে আরও দুই লাখ মাস্ক সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে।

 

ধানিন ছিয়ারাভানন্ট :

ব্যাংককভিত্তিক থাই ধনকুবের এপ্রিলের মধ্যে ২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার ব্যয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এর মধ্যে ৩০ লাখ ডলার ব্যয়ে ব্যাংককে কারখানা নির্মাণ, যেখান থেকে দৈনিক এক লাখ মাস্ক ফ্রি বিতরণ করা হবে। থাইল্যান্ডজুড়ে তার কোম্পানি ৪০টিরও বেশি হাসপাতালের রোগী, ডাক্তার ও নার্সদের বিনামূল্যে খাবার দিচ্ছে।

 

জ্যাক মা :

আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ১৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রকে ৫ লাখ টেস্ট কিট ও ১০ লাখ মাস্ক দানের ঘোষণা দেন।

জ্যাক মা আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার বহু দেশে কিটসহ চিকিৎসাসামগ্রী পাঠিয়েছেন। এছাড়া জ্যাক মা ফাউন্ডেশন নিউইয়র্ককে ২৬ লাখ মাস্ক, এক লাখ সুরক্ষা চশমা ও দুই হাজার ভেন্টিলেটর দিয়েছে।

 

গৌতম আদানি :

ভারতের বন্দর ধনকুবের ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মোদির তহবিলে ১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া আদানি গ্রুপ এক লাখ ২০ মাস্ক দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

যোগী হেনদ্রা আতমাদজি : ইন্দোনেশিয়ার এ ধনকুবের তার ফুড গ্রুপ মায়োরা ১০ লাখ মাস্ক, ১০ লাখ পানির বোতল ও ১০ লাখ বিস্কুটের প্যাকেট দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

 

অ্যাডরিয়ান চেং :

হংকংয়ের মোঘুল হেনরি চেংয়ের পুত্র নিউ ওয়ার্ল্ড ডেভেলপমেন্টের মালিক এক কোটি মাস্ক বিতরণের ঘোষণা দিয়েছেন। তার কোম্পানি নতুন ভাইরাস প্রতিরোধী মাস্ক তৈরিতে ১৩ লাখ ডলার বিনিয়োগ, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় হংকংকে ১৩ লাখ ডলার এবং চীনকে ৭০ লাখ ডলার দান করেছে।

 

চেং ওয়েই :

চীনের বৃহত্তম রাইড শেয়ারিং অ্যাপ দিদির ১ হাজার ৩৩৬ চালক উহানে ডাক্তার-নার্সদের ফ্রি পরিবহন সেবা দিচ্ছেন।

 

চাং মং-কো :

দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা হুন্দাই মোটর মালিক যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনসহ ১১ শহরে ১১টি শিশু হাসপাতালে কোভিড-১৯ টেস্ট সেন্টার নির্মাণ করেছেন। পাশাপাশি ২২ লাখ ডলার দান করেছেন।

 

হুই কা ইয়ান :

চীনা আবাসন ব্যবসায়ী হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের গ্যাংঝু ইন্সটিটিউট অব রেসপাইরেটরি হেলথকে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণায় সাড়ে ১১ কোটি ডলার দান করেছেন।

 

তাকেদা :

জাপানিজ মেডিকেল ফার্ম সুস্থ হওয়া সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তরস নিয়ে হাইপার ইমিউন থেরাপি শুরু করেছে।