ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৫০১

ওয়াসার ১১ খাতে দুর্নীতি পেয়েছে দুদক

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২২:২৪ ১৮ জুলাই ২০১৯  

ওয়াসার ১১টি খাতে দুর্নীতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।

এ সময় ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না করে বিভিন্ন অজুহাতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়সীমা ও প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার (পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যুক্ত থাকেন।

তিনি বলেন, ওয়াসার সরবরাহ করা পানি এখনো পানযোগ্য নয়। ওয়াসার ১১টি খাতে দুর্নীতি আমরা পেয়েছি। এজন্য ১২টি সুপারিশ করেছি।

তিনি বলেন, মিরপুরে ৫২১ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ৫২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। কাজের মান ও পরিমাপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসূত্র করে এই অনিয়ম হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পানি সংগ্রহ প্রকল্পে ৫৫২ কোটি টাকা বেশি ব্যয় দেখানো হয়েছে। সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এই কাজ সময়ের মধ্যে শেষ হওয়া সম্ভব না।

দুদকের তদন্তে দেখা গেছে, এই কাজগুলো ওয়াসার কর্মকর্তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে বা এ সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে। ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওভারটাইম না করেই বিল নেয়।

বিভিন্ন প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচ হয়েছে, প্রকল্পের খরচ বেড়ে গেছে উল্লেখ করে দুদক কমিশনার বলেন, কালক্ষেপণের কারণে এমন হয়েছে। এছাড়া ঠিকাদারদের তাদের কাজের চেয়ে বেশি টাকা দেয়া হয়েছে। এতে কাজ তুলে নেয়া যাচ্ছে না। তাই কাজের মান ও পরিসর বিবেচনা করে টাকা ছাড় করলে ভালো ফল পাওয়া যেতো। বলা যায় স্পষ্টতই এখানে ওয়াসার সংশ্লিষ্টতা আছে।

দুদক কমিশনার আরো বলেন, এসব বন্ধে টেকনিক্যাল লোকজনদের নিয়ে সারভেইলেন্স টিম গঠন করা যেতে পারে। প্রাক্কলন পর্যায়ে পেশাদারিত্ব বাড়াতে হবে। ওয়াসার অনেক কাজই অসমাপ্ত।

তিনি বলেন, প্রকল্পগুলোতে বিদেশি অর্থায়নও থাকে। সরকারি অর্থও থাকে। উভয় স্বার্থ যেন রক্ষা পায়। সরকারের স্বার্থ তথা জনগণের স্বার্থ রক্ষা পাচ্ছে কম। এজন্য নিরীক্ষা জোরদার করতে হবে।

জনদুর্ভোগ বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর