ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৯১

কমলালেবুর চেয়েও ৪ গুন বেশি উপকারী পেয়ারা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৬ ২৬ আগস্ট ২০২১  

ভিটামিন সি'র ঘাটতি হলে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। তাই চিকিত্‍সকরা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল বেশি বেশি খেতে বলেন। ফলের মধ্যে পুষ্টিগুণে অন্যতম হলো পেয়ারা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর ভিটামিন এ। একটি কমলা থেকে প্রায় ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং একটি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ পাওয়া যায় একটি পেয়ারা থেকে। তাই তো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সহজেই বৃদ্ধি করা যায় এটি খেয়ে।

 

অন্যদিকে যেকোনও ফলের চেয়ে পেয়ারার দামও কম। ভিটামিনের পাশাপাশি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি-২ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পেয়ারায়। করোনার এই সময়ে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইমিউনিটি বুস্টের ভালো মাধ্যম হতে পারে পেয়ারা বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা।এছাড়া পেয়ারায় রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপকার করে থাকে। পেয়ারা খেলে কি কি উপকার পাওয়া সম্ভব তা এবার জেনে নিন.

 

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও পেয়ারা বেশ কার্যকর। এতে থাকা লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিনের মতো অনেক এ্যান্টিঅক্সিজেন উপাদান শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে পাশাপাশি প্রোস্ট্রেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। মুখরোচক এ ফলটি খেতেই কেবল সুস্বাদু নয় কাজের দিক থেকেও পেয়ারা ডায়াবেটিসসহ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর। বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতেও পেয়ারা বেশ উপকারী।

 

কাঁচা পেয়ারা ঠাণ্ডা, কাশি সারিয়ে তুলতে বেশি সহায়ক। অন্যদিকে পেয়ারা ছাড়াও এর পাতাতেও রয়েছে ঔষধি গুণাবলি। পেয়ারা পাতার রস মেয়েদের ঋতুস্বাবের সময়ে পেটে ব্যথার সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়ক। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে বেশ কার্যকর।পেয়ারা শুধু কাঁচা খাওয়া ছাড়াও আচার, জেলি কিংবা পেয়ারার শরবত করে খেলে রুচি বাড়বে। পাশাপাশি ভিটামিনের অভাব দূর করবে।

 

এই সময়ে যারা ঘরে অবস্থান করছেন, তারা খাবার তালিকায় পেয়ারা রাখতে পারেন। এতে করে ওজন যেমন হ্রাস পাবে তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও কাজ করবে। অন্যদিকে যারা ডায়েট করার চিন্তা করছেন তারা খাবার তালিকায় পেয়ারা রাখতে পারেন অনায়াসে। বর্তমান মহামারীর এ সময়ে খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আবশ্যক।

 

তেলজাতীয় খাবার এ সময় এড়িয়ে চলা যেমন প্রয়োজন, তেমনি খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখাও জরুরি। তাই মৌসুমি ফল হিসেবে পেয়ারা রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে করে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, আর এর ফলে নানা রোগব্যাধি থেকে সুস্থও থাকতে পারবেন খুব সহজে।