ঢাকা, ২৯ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ১৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩২৮

করোনা: কবরের পরিবর্তে মুসলিম মৃতদেহ পোড়াচ্ছে শ্রীলংকা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৯ ১০ ডিসেম্বর ২০২০  

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃত মুসলিমদের মরদেহ কবরের বদলে পোড়াচ্ছে শ্রীলংকা। কাতারভিত্তিক প্রভাবশালী আল-জাজিরাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে।

 

গেল অক্টোবরের পর দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এজন্য মুসলমানদের দায়ী করা হচ্ছে। তারা বলছে, মুসলিমদের মাধ্যমেই সেখানে মারণঘাতী ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।

 

পরিপ্রেক্ষিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী কোনো ব্যক্তি করোনাক্রান্ত হয়ে মারা গেলেই তাকে পুড়িয়ে ফেলছে শ্রীলংকা। এ নিয়ে একটি নীতিও করেছে লংকান সরকার। এর আওতায় কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত মুসলিমকে কবর দিতে দিচ্ছে না তারা।

 

ইসলামি আইনে মরদেহ পোড়ানো কার্যত নিষিদ্ধ। ফলে শুরু থেকেই সেই বিতর্কিত নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার মুসলিম পরিবারগুলো। কিন্তু তাদের ধর্মীয় আপত্তি সত্ত্বেও এই কাজ করছে শ্রীলংকা।

 

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) পাঁচ মুসলিম মৃতদেহ দাহ করেছে দেশটির সরকার। কয়েকদিনের মধ্যে আরও ১৯ মরদেহ পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। 

 

সেগুলো এখন রাজধানী কলম্বোর মর্গে রাখা আছে। পরিবার ফেরত চাইলেও দেয়া হয়নি। লংকান অ্যাটর্নি-জেনারেল দাপুলা দে লিভেরা এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

 

এরই মধ্যে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে ১২ পিটিশন দায়ের করেন মুসলিমরা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং সুশীল সমাজ গোষ্ঠী এতে নেতৃত্ব দেয়।

 

তবে তাদের পিটিশন প্রত্যাখ্যান করেছেনে শীর্ষ আদালত। কোনো ব্যাখ্যাও দেননি তারা।

 

শ্রীলংকা মুসলিম কাউন্সিল বলছে, দেশের করোনাক্রান্তদের অধিকাংশই মুসলিম। এর মুখপাত্র বলছেন, সরকারি কঠোর নীতির কারণে কোভিড-১৯ পজিটিভ মুসলমানরা এখন চিকিৎসা সহায়তা নিতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, মরে গেলে দাহ হতে চান না তারা।

 

গেল মাসে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) কলম্বোকে আহবান জানায়, ধর্মীয় বিশ্বাস ও নিয়মনীতি মেনে মুসলিমদের কবর দিতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার।

 

করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পুড়িয়ে ফেলতে গেল অক্টোবরে নির্দেশ দেয় শ্রীলংকা। কারণ, তাদের কবর দেয়া হলে ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর দূষিত হতে পারে।

 

সঙ্গত কারণে বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশটিতে অস্থিরতা বাড়ছে। মুসলমানদের সঙ্গে তাদের ফারাক তৈরি হচ্ছে। যা নতুন করে ভয়াবহ হামলার সৃষ্টি করতে পারে। এর আগে ২০১৯ সালে তথাকথিত ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয় তারা।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর