ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ২৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৬৮৯

করোনা : বাংলাদেশের জন্য নতুন আশার হাতছানি

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১১:১৫ ১৮ এপ্রিল ২০২০  

মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ

 

১. ইতিহাস

যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, বেলজিয়ামে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশী। এই সব দেশে যক্ষার প্রতিষেধক টিকা বি সি জি (BCG-Baccilus Calmette and Guerine) কখনই দেয়া হয় নি বা অল্প কিছুদিন দেয়া হয়েছিল। 


২. পরিসংখ্যান

যে দেশে যত আগে এই টিকা দেয়া হয়েছিল সেইদেশে এই ভাইরাসজনিত মৃত্যুর হার তত কম। ব্রাজিলে ১৯২০ সালে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল সেখানে মৃত্যুর হার ০.৫%।  ইরানে ১৯৮৪ সালে এই কার্যক্রম শুরু হয় এবং মৃত্যুর হার ৩০%।


৩. টিকা দিলে মানব শরীরে কি হয়?


এই টিকা দিলে আমাদের শরীরে  proinflamatory cytokines IL-1b বেশী উৎপন্ন হয়। এটি Antiviral human response অর্থাৎ 'ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানষের শরীরে সাড়া দান ' বাড়িয়ে দেয়। ফলে করোনাসহ অন্যান্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের শরীর বেশী সক্রিয় হতে পারে।

 

৪. এই টিকা দেয়ার আইনগত কী কোন বাধা আছে?

কোন টিকা বা ওষুধ আবিস্কারের পর আমেরিকাস্থ Food and Drug Agency (FDA) এর অনুমোদন প্রয়োজন । এটি অনেক আগেই এই অনুমোদনপ্রাপ্ত। তাই এটি দিতে আইনগত বাঁধা নাই। তাই, অস্ট্রেলিয়াতে এই গবেষণার পর প্রায় চার হাজার স্বাস্থ্য কর্মীকে এই টিকা দেওয়া হয়।

 

৫. তথ্যসূত্র

অতিসম্প্রতি গবেষণাটি পরিচালনা করে নিউইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির বায়োমেডিকেল বিভাগ।


৬. বাংলাদেশের জন্য আশাবাদ

বাংলাদেশে ১৯৭৯ সাল হতে সার্বজনীনভাবে বিসিজি টিকা দেওয়া কর্মসূচি চালু করা হয়। যেহেতু গবেষণায় দেখা যায় এই টিকা দিলে করোনা আক্রমনের হার কম হয়,তাই মোটা দাগে বলা যায় অসংখ্য যে সব কারণে এই রোগের সংক্রমণ কম হয় তার অন্যতম একটি মানদন্ড বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য। তবে, লক্ষ্যনীয়, ১৯৭৯ তে যেহেতু এই কর্মসূচি বাংলাদেশে শুরু হয় তার আগে জন্ম নেয়া বাংলাদেশীরা এই ঝুঁকির মধ্যে থেকেই গেলো।


৭. সতর্কবার্তা

এটি একটি তথ্য উপাত্ত ভিত্তিক গবেষণামাত্র,কোন প্রামানিক দলিল নয়।


# মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
ক্লাসিফাইড স্পেশালিষ্ট, ফার্মাকোলজি, আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ

মুক্তমত বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর