ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৭৭

করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:০৮ ১৭ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাসের একটি টিকা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের দেহে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দেশটির সিয়াটলে কাইজার পারমানেন্টে গবেষণাকেন্দ্রে ৪৫ জন সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর দেহে এ টিকা প্রয়োগ করা হবে। সর্বপ্রথম এক নারীকে এটি দেয়া হয়েছে। 
টিকাটির উপাদান হলো কোভিড-১৯ ভাইরাসের একটি জেনেটিক কোড - যা আসল ভাইরাসটি থেকেই নকল করে তৈরি করা হয়েছে। এ কপিটি বিপদজনক নয় এবং এটা মানবদেহে সংক্রমণ ঘটাতেও পারে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভ্যাকসিনটি বা এরকম যে আরো কয়েকটি টিকা এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে, তাতে আদৌ কোনও কাজ হবে কি-না, তা জানতে আরো অনেক মাস লেগে যাবে।
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীজুড়েই চেষ্টা করছেন গবেষণার কাজ দ্রুততর করতে। এমআরএনএ-১২৭৩ নামের টিকাটি কোভিড-১৯ সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাস থেকে তৈরি নয়। বরং সেই ভাইরাসের জেনেটিক সংকেতের একটি অংশ কপি বা নকল করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেটাই এ টিকাতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
আশা করা হচ্ছে, এ টিকা প্রয়োগ করা হলে, মানবদেহের নিজস্ব রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জাগিয়ে তুলেই ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলা করা যাবে। স্বেচ্ছাসেবকদের বাহুতে ২৮ দিন পর পর দুবার টিকাটি দেয়া হবে।

বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবককে নানা মাত্রায় ভ্যাকসিনটি দেয়া হবে। পরীক্ষাটি যদি ভালোভাবে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয়, তাহলে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য পাওয়া যেতে ১৮ মাস লাগতে পারে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ এ ভ্যাকসিনটি মানবদেহে পরীক্ষা করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বাদ দিচ্ছে। সেটি হলো এ টিকাটি প্রাণীর দেহে সংক্রমণ-প্রতিরোধী ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে কি-না, পরীক্ষাটি এক্ষেত্রে করা হয়নি।
তবে মডার্না থেরাপিউটিক্স নামে যে বায়োটেকনোলজি কোম্পানি এ কাজটা করছে, তারা বলছে- বহুল-পরীক্ষিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এ ভ্যাকসিন বানানো হয়েছে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. জন ট্রেগোনিং বলছেন, এ টিকা বিদ্যমান প্রযুক্তিই অনুসরণ করেছে। অত্যন্ত উচ্চমান রক্ষা করে এটি বানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে যা ব্যবহৃত হয়েছে তা যে মানুষের দেহে ব্যবহার নিরাপদ সেটা আমাদের আগে থেকেই জানা। এ ট্রায়ালে যারা অংশ নেবেন, তাদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে মনিটর করা হবে।
ড. ট্রেগোনিং বলেন, হ্যাঁ, এটা অত্যন্ত দ্রুত তৈরি হচ্ছে। কিন্তু এখন ভাইরাসটির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে হচ্ছে। কাজটা করা হচ্ছে মানবতার কল্যাণের জন্য।