ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৪০

আরো কঠিন পরীক্ষার মুখে বিশ্ব

করোনার চে’ ভয়ংকর ভাইরাস আসছে!

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৫:৪০ ২৬ মে ২০২০  

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে হিমশৈলের অগ্রভাগ বলে সতর্ক করেছেন চীনের উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি'র উপপরিচালক শি ঝেংলি। চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমনটি বলেন তিনি।

 

শি ঝেংলি বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ না করতে পারলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও আরো সংক্রামক ভাইরাস বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা যদি মানুষকে পরবর্তী সংক্রামক-রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা করতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই আগে থেকে জানতে হবে যে কোন্ বন্যপ্রাণী থেকে প্রকৃতিতে এই ভাইরাস ছড়ায়। আমরা যদি এটি নিয়ে গবেষণা না করি তাহলে আরেকটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।

 

এছাড়াও সোমবার দেয়া সাক্ষাতকারে শি ঝেংলি উহানের ল্যাব থেকে করোনা ছড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। তিনি দাবি করেন, উহানের ল্যাবে যে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল সেটির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের মিল নেই।

 

উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সহ–অধিকর্তা শিন পরিস্থিতি বিচার করে বলছেন, যে কোনও ভাইরাস নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসনিক স্তরে স্বচ্ছ হওয়া জরুরি। না হলে শেষ পর্যন্ত মানব কল্যাণে ভাইরাস নিরাময়ের কাজটি করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

 

তিনি জানিয়েছেন, মানব সভ্যতাকে যদি পরের ধাপে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে ছোঁয়াচে রোগ নিয়ে আরও বৃহত্তর গবেষণার দরকার। প্রাকৃতিক পরিবেশে বন্যপ্রাণীর শরীরে কী ভাইরাস রয়েছে, আর তা থেকে কী ক্ষতি হতে পারে, তা আমাদের আগে থেকে বুঝতে হলে আরও গবেষণা করতে হবে। গবেষণা করলেই মানুষকে বিপদের কথা আগে থেকে জানান দেওয়া যাবে। না হলে অজান্তেই করোনা ভাইরাসের মতো একাধিক মারণ ভাইরাস আক্রমণ করে বসবে মানব শরীরকে। গবেষণা না করলে দ্রুত ফের আক্রান্ত হতে পারে মানব সভ্যতা। নতুন কোনও ভাইরাসের দ্বারা।


তার মানে, যে দেশে রোগের উৎপত্তি, যারা চিহ্নিত করেছেন এই ভাইরাসকে, তারাই বলছেন, ভাইরাসে প্রকোপ হয়ত এখানেই শেষ নয়। বাদুড় বা অন্য কোনও প্রাণী থেকে যদি এটি এসে থাকে, তাহলে কীভাবে এল, তাও স্পষ্ট নয়। বন্যপ্রাণ থেকে ভাইরাস সংক্রমণের এই ধারা যদি মানুষ ধরতে না পারে, তাহলে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে ভবিষ্যতে। এমনটাই বলতে চাইছেন চীনের এই গবেষক। 

 

উহানের গবেষণাগারে দীর্ঘদিন বাদুড়ের ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন শি ঝেংলি। তার নেতৃত্বে বাদুড়ের শরীর থেকে সার্সের মতো কয়েক ডজন রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। এ জন্য তাকে চীনের 'ব্যাট ওম্যান' বা 'বাদুড় নারী' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।