ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪ || ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৮৫৬

কর্মক্ষেত্রে মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০০:৫৮ ২৩ জুলাই ২০২৩  

চলতি বছরে ‘কর্মক্ষেত্র’ থেকে মানুষ ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কল-কারখানায় সকাল-বিকাল মশার ওষুধ ছিটানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। 

 

তিনি বলেছেন, “মোট আক্রান্তের বেশিরভাগের বয়স ১৮ থেকে ৬০ এর মধ্যে। অর্থাৎ কর্মক্ষম ব্যক্তিরা, যারা বাড়ির বাইরে কাজ করেন তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা (আক্রান্তরা) মনে করে, মিল ফ্যাক্টরি অফিস আদালতে স্প্রে সেভাবে হচ্ছে না। সেখান থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। 

 

“সে কারণে এসব জায়গায় মশার ওষুধ ছিটানো খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। কারখানার যারা মালিক আছেন, অফিসের যারা ব্যবস্থাপনায় আছেন তাদের প্রতি আমি অনুরোধ করব, আপনাদের প্রতিষ্ঠানে সকল বিকাল মশার ওষুধ স্প্রে করবেন।"

 

শনিবার রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

তিনি জানান, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জেনেছেন, বাড়ির বাইরে বেশিরভাগ সময়ে থাকা মানুষেরা ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন এবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও অনেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। 

 

স্কুলে মশা মারার ওষুধ ছিটানোর আহ্বান রেখে মন্ত্রী বলেন, “বাচ্চাদের স্বজনরা বলছেন, বাসায় তারা নিয়মিত মশার ওষুধ স্প্রে করেন। সেখানে তেমন মশা নাই। বাচ্চা স্কুল থেকে মশার কামড় খেয়েছে বলে তারা মনে করেন। কাজেই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেও আহ্বান, তারা যেন স্কুলে মশা নিধনের ব্যবস্থা নেয়।”

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, চলতি বছর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সারাদেশে ২৮ হাজার ৪৪৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮ হাজার ৫২০ জন, অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। আর ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী আছেন ২ হাজার ৫৯৬ জন, অর্থাৎ ৯ শতাংশ।

 

চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ১৫৬ জনে। তাদের মধ্যেও ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের সংখ্যা বেশি, ৬২ জন। আর ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৩৬ জন।

 

এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। জুন মাসে যেখানে ৫ হাজার ৯৫৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, জুলাইয়ের প্রথম ২০ দিনেই সেই সংখ্যা বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যুও বেড়েছে। জুন মাসে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, জুলাইয়ের ২০ দিনে সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ১০৯ জনে।

 

এ বছর এইডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা তাদের।