ঢাকা, ২৬ নভেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪ || ১২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৫৪৭

কাঁঠাল খাবার উপকারিতা

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৯:৫৪ ২ জুলাই ২০১৯  

কাঁঠাল একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর এই ফলটি। জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত এই ফলটি দেশের সব স্থানেই কম-বেশি পাওয়া যায়। কাঁচা হোক কিংবা পাকা, দুই ভাবেই খাওয়া যায় এই ফল। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন, থায়ামিন, রাইবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম।  কাঁঠালের নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে

কাঁঠালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা হলো-এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। এতে থাকা ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে।

ক্যানসার প্রতিরোধ করে

কাঁঠালে রয়েছে লিগন্যান্স, স্যাপোনিন্স ও আইসোফ্লাভোনস নামে ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট। এই উপাদানগুলোতে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলি রয়েছে। এগুলো ক্যানসার প্রতিরোধক এবং অকালে বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

হজমে সাহায্য করে

হজমের ক্ষেত্রে কাঁঠালের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এটি আলসার প্রতিরোধ করতে পারে এবং হজমের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে কাঁঠাল খেলে তা অন্ত্রের চলাচল সহজ করে।

উচ্চ রক্তচাপ কমায়

এটি পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস। এ কারণে কাঁঠাল খেলে উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে যায়।

হাঁপানি প্রতিরোধ করে

কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে রয়েছে হাঁপানি প্রতিরোধের গুণাবলী। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে যদি কাঁঠালের শিকড় এবং এর নির্যাস ফুটিয়ে সেই জলটা খাওয়া হয় তাহলে হাঁপানি প্রতিরোধ সম্ভব।

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে

কাঁঠাল রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে এবং এটি দেহের সর্বত্র রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।

থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখে

কাঁঠাল হচ্ছে কপারের একটি খুব ভালো উৎস। ফলে এটি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে যেকোনো কড়া ওষুধ খাওয়ার আগে কাঁঠাল খেয়ে দেখতে পারেন।

হাড়কে মজবুত করে

কাঁঠালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, যা ক্যালসিয়াম শোষণ করে।আর ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনকে মজবুত করে এবং হাড়ের বিভিন্ন রোগ যেমন অস্টিওপেরোসিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

পাইলস ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে

কাঁঠালে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলনের বিষাক্ততা পরিষ্কার করে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। আর এতে থাকা উচ্চ আঁশ কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধ করে পাইলসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।