ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৪৫৫

কানাডায় নির্বিঘ্নে জীবনযাপন করছেন বঙ্গবন্ধু খুনি নূর চৌধুরী

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:২৪ ২০ নভেম্বর ২০২৩  

কানাডায় নির্বিঘ্নে জীবন-যাপন করছেন ৭৩ বছর বয়সী এই খুনি। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার পর অন্যন্য খুনির মতো স্ব-ঘোষিত খুনি নূর চৌধুরীকে পুরস্কারস্বরূপ তিনি ভিনদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া হয়। প্রায় সাতাশ বছর ধরে এই খুনি কানাডার আশ্রয়ে।

 

কানাডার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসির মার্ক কেলির ‘দ্য ফিফথ স্টেট’-এ ‘দ্য অ্যাসাসিন নেক্সট ডোর’ ডকু্যতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে,  ২০০২ সালে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড প্যানেল এক প্রতিবেদনে 'নূর চৌধুরী' কে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী পলাতক আসামী হিসেবে উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে এই আদেশের আপিল করলেও সেটিতে সাড়া দেয়নি আদালত। নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আদেশ জারি করেছিল। 

 

আমি জানি না, ঠিক কোন বলয়ে এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে কানাডায় ছিলেন। তবে কানাডার সাবেক জননিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী স্টকয়েল ডে স্পষ্টত উল্লেখ করছেন, নূর চৌধুরী কানাডায় থাকতে পারে না। তাই ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড প্যানেল যে প্রতিবেদন দিয়েছিল। সেটির প্রতি তারা সমর্থন জানায়।
এরপরও তিনি কেন দেশে ফিরলেন না?

 

কারণ সেই সময়ে বাংলাদেশের ক্ষমতাশীন সরকার নূর চৌধুরীকে ফেরাতে আগ্রহই দেখায়নি? হ্যাঁ কানাডার আইন বলছে, কেউ যদি দেশে ফিরে মৃত্যুঝুঁকি কিংবা নির্যাতনের আশঙ্কা করেন, তাহলে মানবাধিকারের বিবেচনায় তাকে ডিপ্রোটেড করা যাবে না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নূর চৌধুরী বিরুদ্ধে সেই ২০০৪ সালে আদালতে কোন রায় মৃত্যুদণ্ড ছিল? কেন তাকে ফেরানো সম্ভব হয়নি?

 

একটি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে হত্যা করে কানাডায় নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে থাকবে, আর সেটিকে কানাডা সরকার  ১০টি বিচারের সঙ্গেই দেখবেন তা হতে পারে না। সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে দেখলে এটি কখনই ছোট কোনও অপরাধ নয়। কানাডার মানুষ সিবিসির ডকু্যটি দেখেছে, তারা রিগ্রেট করে কি না, সেটি দেখার বিষয়।

 

আইন মানুষেরই তৈরি, এর সংশোধন-সংযোজন করার জন্য আইনপ্রেণেতারা আছেন। খুনিদের জন্য হিউম্যান রাইটস দেখিয়ে ভিক্টিমদের প্রতি হিউম্যান রাইটস দেখানো ডাবল স্টান্ডার্ডবাজী ছাড়া কিছু নয়। আশা করি, চিহিৃত এই খুনিকে একদিন এই দেশেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে।

 

লেখক: নাদিম মাহমুদ

Works at Howard Hughes Medical Institute and UC San Diego

মুক্তমত বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর