ঢাকা, ২৩ নভেম্বর শনিবার, ২০২৪ || ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২১০

কিডনি রোগ ও মৃত্যুঝুঁকি বাড়ায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৪:১৯ ২০ অক্টোবর ২০২২  

খাবারদাবারে অনিয়ম হলেই পেটে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে গ্যাস্ট্রিক অন্যতম। দেখা যায়, ভাজাপোড়া খেলে কিংবা পরিমাণে একটু বেশি হলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া খাওয়ার আগে বা পরে অনেকেরই বুক জ্বালাপোড়া অথবা পেটব্যথা করে। আবার অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলেও পেটব্যথা করে।

 

অনেকের খাওয়ার পর পর বমি বমি ভাব হয়। এছাড়া খাবারে ভেজালের কারণে ছোট-বড় সব বয়সেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দিতে পারে। এটি মূলত পরিপাকতন্ত্রের ব্যাঘাতজনিত উপসর্গ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চিকিত্‍সকের পরামর্শ ছাড়াই অধিকাংশ মানুষ ওষুধ সেবন করেন। সাময়িক প্রশান্তির জন্য একে কার্যকর মনে করা হয়।

 

তবে এসব ওষুধ সেবনে কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরস (পিপিআইএস) জাতীয় ওষুধ দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ তৈরি করে।

 

নিউইয়র্কের স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষক অধ্যাপক প্রদীপ অরোরা ও তার গবেষক দল ৭১ হাজার ৫১৬ রোগীর পরীক্ষা করেন। তাদের মধ্যে ২৪ হাজার ১৪৯ জন দীর্ঘমেয়াদি কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত। এসব রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পিপিআইএস জাতীয় অর্থাত্‍ গ্যাস্ট্রিক থেকে নিরাময় পেতে ওষুধ সেবন করেছেন।

 

পিপিআই জাতীয় ওষুধ ব্যবহারকারীদের ১০ শতাংশের কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এবং ৭৬ শতাংশের ক্ষেত্রে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। প্রদীপ অরোরা বলছেন, রোগীদের বড় একটা অংশ পিপিআইএস জাতীয় ওষুধ সেবন করেন। যারা স্বাস্থ্য সেবা দেন তাদের এ জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা উচিত্‍।

 

গ্যাস্ট্রিক প্রতিকারে করণীয়

>> পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।

>> ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।

>> নিজেকে প্রফুল্ল ও হাসিখুশি রাখুন।

 

>> নির্দিষ্ট সময় পর পর অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করুন ও পানি পান করুন।

>> বিভিন্ন খাদ্য উপাদান যেমন শসা, আদা, লবঙ্গ ইত্যাদি খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হয় না।

>> তেল, চর্বি ও মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। তাহলেই গ্যাসের সমস্যা হবে না।

 

>> নিয়মমাফিক জীবনযাপন করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় হাঁটাচলা ও ব্যয়াম করুন। এতে পেটে গ্যাস জমবে না।

>> দই অথবা টক দই গ্রহণ করুন। এতে আছে প্রোবায়োটিক উপাদান যা হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ও গ্যাস কমিয়ে রাখে।