ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৫১

কেন খাবেন আনারস?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২৩:১২ ৭ মে ২০২১  

আনারস সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। পুষ্টিগুণে এ ফল অতুলনীয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান। যেগুলো শরীরের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।


প্রতি ১০০ গ্রামে আনারসে পাওয়া যায় ৫০ কিলোক্যালরি শক্তি। এতে ভিটামিন-এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে। ১০০ গ্রাম আনারসে ০.৬ ভাগ প্রোটিন, ০.১২ গ্রাম সহজপাচ্য ফ্যাট, ০.৫ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১৩.১২ গ্রাম শর্করা, ০.১১ গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৪ মি. গ্রাম ভিটামিন-২, ভিটামিন- সি ৪৭.৮ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ০.০২ গ্রাম, আঁশ ১.৪ গ্রাম এবং ১.২ মিলি গ্রাম লৌহ রয়েছে।


আনারস জ্বর ও জন্ডিস রোগের জন্য বেশ উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, যা আমাদের শক্তি জোগায়। গবেষণায় দেখা গেছে, আনারস গলা ব্যথা, সাইনোসাইটিসজাতীয় অসুখগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। হজমে সাহায্য করে। সঙ্গে শরীরের অন্য অঙ্গগুলোকেও ভালো রাখে।

দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে আনারস। আবার ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে কাজ করে। যেকোনো অসুস্থতার পরে মুখে রুচির জন্য এটি খাওয়া যেতে পারে।


আনারস খেলে ভালো থাকবে দাঁতের মাড়ি আর দাঁত দুটোই। আর ভুলে যাবেন না এতে আছে ক্যালসিয়াম। ইহা দাঁতের জন্য উপকারী।


আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃৎপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। এছাড়া হৃৎপিণ্ডের নানা রকম অসুখ থেকে দেয় সুরক্ষা।


আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। ত্বকের অসুখ, জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এটি। দেহের তৈলাক্ত ত্বক,  ব্রণসহ সব রূপ লাবণ্যে এর যথেষ্ট কদর রয়েছে। 


এছাড়া আনারসের প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে। যে কারণে রক্ত শোধনে এ ফল ভূমিকা রাখে।


আনারস কৃমিনাশক। কৃমি দূর করার জন্য সকালে খালি পেটে তা খাওয়া উচিত। তবে অবশ্যই অ্যাসিডিটি থাকলে খালি পেটে এ ফল ক্ষতি করতে পারে।


প্রচুর পরিমাণ ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে আনারসে। যা হাড় ও কানেক্টিভ টিস্যুকে করে শক্তিশালী। এক কাপ আনারসের জুস আমাদের দৈনিক প্রয়োজনীয় ম্যাঙ্গানিজের ৭৩ ভাগ পূরণ করতে সক্ষম।