ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৩১০

কেন খাবেন ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত?

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৫৬ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাঙালির প্রধান খাদ্য ভাত। ধবধবে সাদা ভাত খেতে কে না ভালোবাসে। শুধু আমাদের অঞ্চলে নয়, গোটা বিশ্বে এমন ভাত জনপ্রিয়। তবে জানেন কী, চাল যত চকচকে হয়, সেটার গুণ তত কম হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এ পলিশ করা ভাত। 

প্রশ্ন হচ্ছে তা হলে খাবেন কী? বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে প্রাধান্য দিচ্ছেন ঢেঁকিছাঁটা চালকে। একসময় গ্রামাঞ্চলের মানুষ এ চাল খেতেন। এমনকি শহরের বাসিন্দারাও। এখন সেই অভ্যাসটি হারিয়ে গেছে বললেই চলে। 

ঢেঁকিছাঁটা চালের পুষ্টিগুণ 

খাদ্যোপযোগী ঢেঁকিছাঁটা সিদ্ধ চালে প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ১২ দশমিক ৬ গ্রাম জলীয় অংশ, শূন্য দশমিক ৯ খনিজ গ্রাম, ৩৪৯ গ্রাম খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি), ৮ দশমিক ৫ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ৬ গ্রাম চর্বি, ৭৭ দশমিক ৪ গ্রাম শর্করা, ১০ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ দশমিক ৮ গ্রাম লৌহ ও ৯ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন। 

কেন খাবেন ঢেঁকিছাঁটা চাল? 

বর্তমানে বাড়তি ওজনের জন্য বদলে যাচ্ছে খাবারের ধরন। ওজন কমানোর জন্য নানা বিকল্প বেছে নিচ্ছেন মানুষ। শরীর চর্চা করার পাশাপাশি আমরা অভ্যস্ত হচ্ছি লো ফ্যাট ডায়েটে। যার ফলে একটু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দেয় ক্যালসিয়ামের অভাব, হাড়ক্ষয়, গাঁটে ব্যথা ইত্যাদি। 

ভাত আমাদের দেহে শর্করা ও আমিষ দুই-ই সরবরাহ করে। কিন্তু পলিশ করা চালের ভাতে এ উপাদানগুলো কম থাকে। অন্যদিকে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেলে দুটি উপাদানই পুরোপুরি পাওয়া যায়। এতে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি পুষ্টিও থাকে ঠিকঠাক। 

সাধারণত, ডায়াবেটিস রোগীদের ভাত কম খেতে বলা হয়। তবে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেতে পারবেন তারা। সেই সঙ্গে যারা হাঁটু ও কোমরের ব্যথায় ভোগেন; তারাও সেই চাল খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন।