ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৭৭

কয়েকটা নিয়ম মানলেই সুস্থ থাকবে কিডনি, আটকাবে সংক্রমণ

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৫৮ ৬ জানুয়ারি ২০২০  

শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ কিডনি বা বৃক্ক। একে অবহেলা করলে শরীরে নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে পারে। বড় ধরনের কোনও সংক্রমণেরও শিকার হতে পারেন স্রেফ এ কিডনির প্রতি অযত্নের কারণে।
নেফ্রোলজিস্ট অভিজিৎ তরফদারের মতে, কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত কিডনির যত্ন নেয়া খুব কঠিন কাজ নয়। ছোটখাটো কিছু যত্নেই সুস্থ রাখা যায় এটিকে। আমরা অনেকেই কর্মব্যস্ততার দোহাই দিয়ে সেই ন্যূনতম যত্নও নিই না। আর এতেই বাড়ে বিপত্তি। বছরে অন্তত একবার মাইক্রো অ্যালবুমিন পরীক্ষা করিয়ে নেয়াও জরুরি।
কয়েকটা সাধারণ অভ্যাসেই কিডনির নানা সমস্যা দূরে থাকতে পারে। সেগুলো নিয়ে আলোকপাত করা হলো।
পানি: শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি খান। আপনার অন্যান্য অসুখ, শরীরে পানি ধারণ করে রাখার ক্ষমতা ইত্যাদি ফ্যাক্টরের উপরই নির্ভর করে কতটুকু তা প্রয়োজন। সাধারণত যেকোনও সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। তাই শরীরের প্রয়োজন কতটুকু পানির, সেই পরামর্শ নিয়ে রাখুন চিকিৎসক বা ডায়েটেশিয়ানের কাছ থেকে। সেই অনুপাতে পানি খান। শরীরের টক্সিন সরাতে পানিই প্রধানত সাহায্য করে। তাই পানির জোগান কিডনি যত পাবে, তত তার শারীরবৃত্তীয় কাজে সুবিধা হবে।
প্রসাব চেপে রাখা: কিডনির সংক্রমণের অন্যতমন কারণ এটি। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রসাব চেপে রাখেন। এ অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এতে প্রসাবের নালীতে যেমন চাপ পড়ে, তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। টক্সিন বেশিক্ষণ ধরে রাখার ফলে কিডনির শারীরবৃত্তীয় কাজ সারতে সমস্যা হয় এবং দীর্ঘ সময় টক্সিন ধরে রাখায় শরীরে সংক্রমণ ঘটে।
ডায়াবেটিস: উচ্চমাত্রায় ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই সবসময় চেষ্টা করুন ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে বা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
পেনকিলার: কথায় কথায় মুঠো মুঠো পেনকিলার খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকেরই। অতিরিক্ত মাত্রায় এ ধরনের ওষুধ কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওভাবেই কোনওরকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া উচিত নয়।