ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর রোববার, ২০২৪ || ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
good-food
৭০

খনিতে কোটি টাকার হীরা পেয়ে ভাগ্য ফিরল ঋণগ্রস্ত শ্রমিকের

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ১৩:৫৮ ২৬ জুলাই ২০২৪  

ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক ঋণ জর্জরিত খনি শ্রমিকের ভাগ্য রাতারাতি বদলে গেছে। পান্না সিটির খনিতে রাজু গৌড় নামের এই শ্রমিক খুঁজে পেয়েছেন এক মূল্যবান হীরা। ১৯ দশমিক ২২ ক্যারেটের সেই হীরা ভারতের সরকারি নিলামে ৮ লাখ রুপি বা ৯৫ হাজার ৫৭০ ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কোটি টাকার বেশি। খবর বিবিসি।

রাজু গৌড় হীরাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। রাজ্য সরকারের হীরা বিষয়ক কার্যালয়ের কর্মকর্তা অনুপম সিং বলেছেন, হীরাটি সরকারের পরবর্তী নিলামে তোলা হবে। নিলামে হীরা বিক্রির অর্থ থেকে সরকারের পাওনা ও কর কেটে রেখে বাকি অর্থ রাজুকে দেয়া হবে। সাধারণত ২০০-২৫০ রুপিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খনি ইজারা দেয়া হয়।

হীরার খনির জন্য বিখ্যাত পান্না সিটি। সেখানে অনেকগুলো হীরার খনি আছে। ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় খনিজ উন্নয়ন করপোরেশন (এনএমডিসি) পান্নায় একটি যান্ত্রিক হীরা খনির প্রকল্প পরিচালনা করছে। এই করপোরেশন হীরা সন্ধানী বিভিন্ন ব্যক্তি, পরিবার এবং গোষ্ঠীকে খনি ইজারা দেয়।

হীরার আশায় ১০ বছরের বেশি সময় পান্না নগরীতে ইজারায় খনি খনন করে চলেছেন রাজু গৌড়। তবে এবারই প্রথম হীরার দেখা পেলেন। বিবিসিকে রাজু বলেন, অনেকের মুখে পাথর বা হীরা পাওয়ার গল্প শুনে শুনে আশাবাদী ছিলেন একদিন তিনিও পাবেন মহামূল্যবান এই পাথরের সন্ধান।

হীরার সন্ধান পাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে রাজু বলেন, অন্যান্য দিনের মতোই গত বুধবার এই কঠিন কাজে বের হয়েছিলেন তিনি। হাজার হাজার পাথরের মধ্যে খুঁজছিলেন হীরা। এক সময় কাচের টুকরোর মতো কিছু দেখতে পেলেন। সেটা চোখের সামনে তুলে ধরে দেখতে পেলেন একটা ক্ষীণ ঝলক। তখনই বুঝতে পারলেন যে, একটি হীরা খুঁজে পেয়েছেন ।

রাজু গৌড়ের বাবা প্রায় দুই মাস আগে পান্না সিটির কাছে কৃষ্ণ কল্যাণপুর পট্টি গ্রামে অবস্থিত খনিটি ইজারা নিয়েছিলেন। বর্ষা মৌসুমে যখন কৃষি ও রাজমিস্ত্রির কাজের চাপ কম থাকে তখন তার পরিবার খনিগুলো ইজারা নেয়। রাজু বলেন, আমরা খুবই গরিব, আমাদের আয়ের অন্য কোনো উৎস নেই।  আমরা কিছু অর্থ উপার্জনের আশায় এই কাজ করে থাকি।

হীরা বিক্রির অর্থ পাওয়ার আশায় উচ্ছ্বাসিত রাজু। এ অর্থ দিয়ে তিনি পরিবারের জন্য একটি ভালো বাড়ি তৈরি এবং সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে চান। তবে সবার আগে তিনি মেটাবেন পাঁচ লাখ রূপির ঋণ। তারপর  ১৯ আত্মীয়ের মাঝে এই অর্থ ভাগ করে দেবেন। 

জীবনের গল্প বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর