ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৬৮৫

খালি চোখে জাল নোট চেনার উপায়

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২০:৪৬ ২২ নভেম্বর ২০১৯  

অনেক সময় আসল ব্যাংক নোট এবং জাল নোটের মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের হাতে চলে আসে জাল নোট। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হন তারা। অনেক ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতার মধ্যেও পড়েন। জানাশোনা মানুষও মাঝে মধ্যে এ সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়েন। তবে সাধারণ কয়েকটি নিরাপত্তা চিহ্নের প্রতি খেয়াল রাখলে যে কেউ এ থেকে মুক্ত থাকতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে আসল নোটের কিছু বৈশিষ্ট্য। আসুন জেনে নিই সেসব-

১. প্রথমত অমসৃণ মুদ্রণের বিষয়টি লক্ষ্য করতে হবে। বাংলাদেশের ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ডানপাশে হেলানো ৭টি সমান্তরাল লাইন থাকে। এসবের নীচে বৃত্তাকার ছাপ দেখা যায়। ১০০০ টাকার নোটে ৫টি, ৫০০ টাকার নোটে ৪টি এবং ১০০ টাকার নোটে ৩টি বৃত্তাকার ছাপ থাকে। এ সমান্তরাল লাইন, বৃত্তাকার ছাপ এবং সামনে-পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখা ইন্ট্যাগলিও পদ্ধতিতে মুদ্রণ করায় এগুলো অমসৃণ অনুভূত হবে।

২. নোটের বাম পাশে থাকা নিরাপত্তা সূতার দিকে নজর দিতে হবে। এ সূতার হলোগ্রাফিক এবং রং পরিবর্তনশীল হয়। অর্থাৎ নোট নাড়াচাড়া করলে এর রং বদলাবে এবং ছোট ছোট হরফে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাটি ভেসে উঠবে। ১০০০ টাকার লাল নোটটি আলোর বিপরীতে ধরলে নিরাপত্তা সূতায় '১০০০ টাকা' লেখা দেখা যাবে। সূতাটি আসল নোটে এমনভাবে গাঁথা থাকে যে ধারালো কিছু দিয়ে ঘঁষলেও উঠে আসে না। জাল নোটে এটা আঠা দিয়ে লাগানো থাকায় সহজেই উঠে আসে।

৩. নোটের জলছাপগুলো খেয়াল করুন। শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত নোটগুলো আলোর বিপরীতে ধরলে জাতির জনকের ছবি, বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম এবং উজ্জ্বলভাবে নোটের ইংরেজি মূল্যমান দেখা যাবে। তবে লাল রঙের ১০০০ টাকার নোটের ক্ষেত্রে শাপলা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম দেখা যাবে। এছাড়া উজ্জ্বল মূল্যমানটি থাকবে শহীদ মিনারের ছবির উপরের দিকে।

৪. ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের প্রত্যেক প্রকার নোটের উপরের ডানদিকে কোণায় ইংরেজি সংখ্যায় লেখা নোটের মূল্যমান রঙ পরিবর্তনশীল কালিতে মুদ্রিত রয়েছে। ১০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট আস্তে আস্তে নড়াচড়া করলে মূল্যমান লেখাটি সোনালী হতে ক্রমেই সবুজ রঙ-এ পরিবর্তিত হয়। একইভাবে ৫০০ টাকা মূল্যমানের নোটে ৫০০ মূল্যমান লেখাটি লালচে থেকে পরিবর্তিত হয়ে সবুজ হয়। জাল নোটে ব্যবহৃত এ রঙ চকচক করলেও তা পরিবর্তিত হয় না। ১০০০ টাকার নোটের পেছনের বাম অংশে আড়াআড়িভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক লেখাটি হালকাভাবে মুদ্রিত দেখা যাবে। যেটা নাড়াচাড়া করলে বোঝা যাবে।
প্রচলিত আইন অনুযায়ী, জাল নোট যার হাতে থাকে তাকেই বিচারের আওতায় আনা হয়। তাই কোনো নোট নিয়ে সন্দেহ হলে সেটা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা অন্য যেকোনো ব্যাংকে অবহিত করা উচিৎ। তবে ওই জাল নোটের বিপরীতে আসল নোট ফেরত পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।