ঢাকা, ২৫ নভেম্বর সোমবার, ২০২৪ || ১১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
৩৭৮

গরমে বেশি খান কাঁচা আম

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৪৬ ১২ মার্চ ২০২১  

পাকা আম সবাই পছন্দ করে। এর স্বাদ, গন্ধ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। কিন্তু পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা কোনো অংশে কম নয়। সবুজ আম বা কাঁচা আম স্বাদে টক বলে এর কথা শুনলেই মুখে জল চলে আসে। এটি কেন খাওয়া উচিৎ সিই বিষয়ে জেনে আসি চলুন-

 

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ
কাঁচা আম ভিটামিন সি পরিপূর্ণ, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে। ফলে হাড় হয় শক্তিশালী। এ গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীর ইনফ্লামেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সহায়তা করে। রক্ত সম্পর্কিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও কমায়। রক্তনালি ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী ও অনেক স্থিতিস্থাপক হয়ে ওঠে। ভিটামিন সি নতুন রক্তকণিকা সৃষ্টিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আয়রন শোষণে এবং রক্তপাতের প্রবণতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।


মর্নিং সিকনেস দূর
গর্ভাবস্থার উপসর্গের তীব্রতা কমাতে এবং ঘন ঘন মর্নিং সিকনেস হওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে কাঁচা আম।েএটি নিয়মিত খেলে মর্নিং সিকনেস পুরোপুরি দূর হয়।


কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের সমস্যা নিরাময়
যদি আপনার এসিডিটির সমস্যা হয়, তাহলে আপনাকে এ সমস্যা থেকে মুক্ত করতে পারে কাঁচা আম। এটি ফাইবার সমৃদ্ধ। এতে ক্ষারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে। গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে কাঁচা আমের সঙ্গে মধু ও লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন।


যকৃতের জন্য ভালো
কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা যকৃতের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সহায়তা করে। নিয়মিত সীমিত পরিমাণে এটি খাওয়া যকৃতের সমস্যা দূরে রাখে। কারণ, এ ফল পিত্তরসের নিঃসরণ বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দূরে রাখে।


রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ
সবুজ বা কাঁচা আম ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। টিউবারকুলোসিস, অ্যানেমিয়া, কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশয়, পাইলস, ক্রনিক ডিসপেপসিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার এবং কার্ডিয়াক রোগ প্রতিরোধ হয় তা খেলে।


এসিডিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ
খাদ্যাভ্যাসের জন্য বেশিরভাগ মানুষই এসিডিটির সমস্যায় ভুগে থাকেন। কাঁচা আম খেলেেএ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ওষুধ গ্রহণ ছাড়াই হজমে সাহায্য করে এটি।


পানির ঘাটতি রোধ
গরমে শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়। শরীরের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এবং পানির ঘাটতি পূরণে সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে হবে।

 

পেটের সমস্যা দূর
গরমের সময় বেশিরভাগ মানুষের পেটে সমস্যা হতে দেখা যায়। ডায়রিয়া, আমাশয় ও বদহজমের মতো সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে কাঁচা আম। খাদ্য হজমে সহায়তা করে এটি। অন্ত্রকে পরিষ্কার করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এ ফল।

 

ওজন কমায়
মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে। ফলে এটি ক্যালরি খরচে সাহায্য করে।

 

স্কার্ভি ও মাড়ির রক্ত পড়া প্রতিরোধ
কাঁচা আম শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি সরবরাহ করে। স্কার্ভি, অ্যানেমিয়া ও মাড়ির রক্ত পড়া কমায়। এর পাউডার বা আমচুর স্কার্ভি নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকরী।


মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা
সবুজ আম খাওয়া মাড়ির জন্য উপকারী। এটি শুধু এর রক্ত পড়াই বন্ধ করে না, বরং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।

 

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি
কাঁচা আম আলফা ক্যারোটিন ও বিটা ক্যারোটিনের মতো ফ্লাভনয়েড সমৃদ্ধ। এসব উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং উন্নতি ঘটায়।


লিভারের উত্তম বন্ধু
লিভারের রোগ নিরাময়ের প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে কাঁচা আম। যখন এটি চিবানো হয়, তখন পিত্ত থলির এসিড ও পিত্তরস বৃদ্ধি পায়। এর ফলে যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন পরিষ্কার করে।


ঘামাচি প্রতিরোধ
গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে খারাপ শত্রু হচ্ছে ঘামাচি।িএর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সবচেয়ে ভালো উপায় কাঁচা আম খাওয়া। এতে এমন কিছু উপাদান আছে; যা সান স্ট্রোক হতে বাধা দেয়।


রক্তের সমস্যা দূর
শরীরের কোষকে উজ্জীবিত করে কাঁচা আম। রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করে। নতুন রক্ত কোষ গঠনে সহায়তা করে। বিভিন্ন রকমের রক্তের সমস্যা যাদের থাকে, যেমন- রক্তশূন্যতা, ব্লাড ক্যান্সার, রক্তক্ষরণের সমস্যা ও টিউবারকোলোসিসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এ ফল।


এনার্জি জোগায়
আপনি কি জানেন, কাঁচা আম আপনাকে প্রচুর এনার্জি দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুপুরে খাওয়ার পরে তা খেলে তন্দ্রা কাটিয়ে উজ্জীবিত হতে সাহায্য করে।


ঘাম কমায়
গরমে ঘাম থামতেই চায় না। কাঁচা আমের জুস খেয়ে এর মাত্রা কমানো যায়। অতিরিক্ত ঘামের ফলে সোডিয়াম ক্লোরাইড এবং আয়রন কমতে শুরু করে। এ প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করে এটি।


স্ট্রকের সমস্যা দূর
কাঁচা আমের সঙ্গে চিনি, জিরা এবং চিম্টি লবণ, মিশিয়ে সিদ্ধ করে জুস বানিয়ে খেলে ঘামাচি রোধ হয়। গ্রীষ্মকালে স্ট্রোকের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।


ক্যান্সার প্রতিরোধ
কাঁচা আমে পাকা আমের তুলনায় অধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি আছে। এ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।