ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১৫০

গাজায় যুদ্ধ চলবে আরও ৭ মাস

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০২:৩২ ৩১ মে ২০২৪  

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হ্যানেগবি বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধ চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কাতারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’কে হ্যানেগবি বলেন, হামাস এবং ছোট ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) গোষ্ঠীর সামরিক ও শাসক ক্ষমতাকে ধ্বংস করতে আমরা আরও ৭ মাস লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছি।

 

তিনি জানান, গাজা-মিশর সীমান্তে বাফার জোনের ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত অংশের পরিমাণ বাড়ছে।

 

মিশরের সঙ্গে গাজার সীমান্ত রাফাতে ইসরায়েলের চলমান অভিযানকে সমর্থন করেছেন হ্যানেগবি। তিনি বলেন, ২০০৭ সালে গাজায় শাসন শুরু করে হামাস। এরপর থেকে সীমান্ত একটি চোরাচালান রাজ্য হয়ে উঠেছে।

 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি রকেট, প্রতিটি বিস্ফোরক ডিভাইস, প্রতিটি গুলি ইসরায়েলের দিকে করা হয়েছে। কারণ, সেই সীমান্ত লঙ্ঘন করা হয়েছিল।

 

দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। রাফাহর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে আরও বেশি ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। ট্যাংকগুলো মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো পশ্চিমে তেল আল-সুলতান, ইবনা এবং কেন্দ্রে শাবোরার কাছে প্রবেশ করছে।

 

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। হামলা থেকে বাঁচতে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে রাফাহ শহরে। তবে সেখানেও তা শুরু করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। চলতি সপ্তাহে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইসরায়েলকে রাফাহ হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। তবে আদালতের সেই নির্দেশ অমান্য করে আরও জোরেশোরে হামলা চালাচ্ছে তারা।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, রাফার শেষ হাসপাতালটি কোনোক্রমে চালু রয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের ‘সম্পূর্ণ অনুপ্রবেশ’ এটিকে বন্ধ করে দিতে পারে। সেটা ‘উল্লেখযোগ্য’ সংখ্যক মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

 

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, সেখানে হামাসের অবশিষ্ট ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে তাদের সেনারা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে হামলা পরিচালনা করছে।

 

তবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার মনে করে না-এমন কোনো স্থল অভিযান চলছে। যেটা ইসরায়লের জন্য তাদের সামরিক সহায়তা নীতিতে পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

 

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১২০০ ইসরায়েলির প্রাণ যায়। হামাস জিম্মি করে নেয় ২৫২ জনকে। এরপর গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। তারা জোর দিয়ে জানিয়েছে, এ যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য তাদের অবশ্যই রাফাহ নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে।

 

৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৬ হাজার ১৭০ জনের প্রাণ গেছে। হামাস-শাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমন দাবি করেছে।

বিশ্ব বিভাগের পাঠকপ্রিয় খবর