ঢাকা, ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, ২০২৪ || ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
১১১

গ্যাসের সমস্যা সমাধানে ৫ খাবার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ০৬:২৮ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

পেট ফোলা আর গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে কারও সমস্যা বেশি, কারও কম। সাধারণ ধারণা হল খাবারের কারণে গ্যাসের সমস্যা হয়। তবে মার্কিন চিকিৎসক জোসেফ মার্কোলা জানান, খাবার নয় দেহর শক্তির মাত্রা এরজন্য দায়ী।

 

রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেন, “যখন আমাদের কোষ যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি তৈরি করতে পারে না, তখন অন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে যেখানে অক্সিজেন যাওয়ার কথা না সেখানেই হামাগুড়ি দিয়ে চলে যায়। আর ভালো ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে ক্ষতিকরগুলোর মাত্রা বৃদ্ধি করে।”

 

“ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলো দেহে গেড়ে বসার পর, কার্যকরভাবে আঁশ হজম বা ভাঙতে পারে না দেহ। ফলে গ্যাস আর পেটফোলা ভাবের তৈরি হয়”- বলেন এই নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক চিকিৎসক। তাই গ্যাসের সমস্যা দূর করতে ক্ষুদ্র পর্যায়ের শক্তি বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন ডা. মার্কোলা। আর সেজন্য খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে বিপাকপ্রক্রিয়াকে জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে।

 

যারা বেশি গ্যাসে আক্রান্ত হন

সবাই কোনো না কোনো সময়ে গ্যাসের সমস্যায় আক্রান্ত হন। “তবে যাদের হজমতন্ত্রের অবস্থা ভালো না তারা বেশি ভোগেন” একই প্রতিবেদনে বলেন ‘দি কোর থ্রি হেলদি ইটিং প্ল্যান’য়ের লেখক ও মার্কিন পুষ্টিবিদ লিসা মস্কোভিজ। তার কথায়, “অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যায় ভোগার কারণ হতে পারে উপকারী ও ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার ভারসাম্যহীনতা। আর এটা শুরু হয় গ্যাস উৎপাদন করে এমন খাবার খাওয়ার ফলে, বিশেষ করে যারা দুর্বল। এক্ষেত্রে কিছু খাবার এড়াতে হয়। আর কিছু খাবার গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

 

পেঁপে

“এতে থাকা ‘পাপাইন’ হজম ‍উপকারী এঞ্জাইম। যা হজমতন্ত্রে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে” বলেন ডা. মার্কোলা।পাশাপাশি হজম না হওয়া খাবার থেকে গ্যাস উৎপন্ন হওয়া প্রতিরোধ করে। তাই নিয়মিত পেঁপে খেলে গ্যাসের সমস্যায় লক্ষণীয় উপকার পাওয়া যায়।

 

আদা

এটা শুধু স্বাদবর্ধক মসলাই নয়, এতে থাকা ‘জিঞ্জারোলস’ এবং ‘শোগাওল্স’ প্রদাহরোধী ও বায়ুনাশক উপাদান হিসেবে কাজ করে- জানান ডা. মার্কোলা। এজন্য বেশি খাওয়া দাওয়ার পর এককাপ আদা চা পান করা উপকারী।

 

শসা

খাবার হজম ও গ্যাসের উৎপাদন কমাতে পারে। কারণ এই সবজি আর্দ্রতা বৃদ্ধিকারী খাবার। মস্কোভিজ বলেন, “দেহে পর্যাপ্ত পানির যোগান দেওয়া আর আর্দ্র থাকা হল হজম প্রক্রিয়া সুস্থ রাখার অন্যতম পন্থা। এতে খাবার অন্ত্রে আটকে থাকার প্রবণতা কমে। ফলে গ্যাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়।”

 

দই

মস্কোভিজের ভাষায়, “হজম উপকারী স্বাস্থ্যকর ব্যাক্টেরিয়াতে পূর্ণ থাকে দই। নিয়মিত খেলে গ্যাস ও ফোলাভাব কমে।”

 

ভেষজ চা

“শুধু হজম উপকারী নয় পাশাপাশি প্রদাহরোধী উপাদানের জন্য সার্বিকভাবে ভালো প্রভাব ফেলে ভেষজ চা”- বলেন মস্কোভিজ। পেপারমিন্ট বা পুদিনা, হিবিস্কাস, লেমনগ্রাস, ক্যামোমাইল এবং গ্রিন টি হল ভালো ভেষজ চায়ের উদাহারণ। এগুলো গ্যাস ও পেটের ফোলাভাব কমায় আর হজম উন্নত করতে সাহায্য করে।