ঢাকা, ২৪ নভেম্বর রোববার, ২০২৪ || ১০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১
good-food
২৪৪

ঘনঘন প্রসাবের চাপ, এড়িয়ে চলুন এসব খাবার

লাইফ টিভি 24

প্রকাশিত: ২১:৪৬ ১৮ মে ২০২১  

একটু পর পরই প্রসাবের চাপ। দীর্ঘক্ষণ গাড়িতে বা বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের সময় টেনশন বাড়ে। মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক বেশির ভাগ সময়ই কাজ করে- যদি প্রসাবের চাপ আসে! এমন পরিস্থিতিতে ছেলেরা সামলে নিতে পারলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যায় পড়তে হয় মেয়েদের। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা দুর্বল মূত্রস্থলীর (ব্লাডার) লক্ষণ হতে পারে।


এমন বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে যেগুলোর প্রভাবে মূত্রস্থলী (ব্লাডার) দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যেমন, মেনোপজ বা বয়সের কারণে, গর্ভধারণের পরও ঘন ঘন প্রসাবের বেগ আসতে পারে। এ ছাড়া কিছু স্নায়বিক, মানসিক বা প্রদাহজনিত কারণে মূত্রস্থলী দুর্বল হতে পারে। তবে এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে, যেগুলো এড়িয়ে চললে বা কম খেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-


১) মূত্রনালির সংক্রমণ, মূত্রস্থলী (ব্লাডার) সমস্যা বা ওএবি থাকলে সোডা বা সোডা যুক্ত খাবার বা পানীয় খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই কার্বনেটেড বা সাইট্রাস সোডা বা সোডা যুক্ত খাবার বা পানীয় থেকে দূরে থাকুন।


২) যদি আপনার মূত্রস্থলীতে (ব্লাডার) সংক্রমণ হয়ে থাকে, তাহলে কফি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ুন। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন মূত্রস্থলীর অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দেয়।


৩) ফল খাওয়া শরীর-স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। তবে যদি আপনার মূত্রস্থলীতে (ব্লাডার) কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে অ্যাসিডিক ফল (যেমন, আঙুর, কমলালেবু, আপেল, টোম্যাটো, আনারস ইত্যাদি) মূত্রনালির সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে এসব ফল না খাওয়া বা যতটা সম্ভব কম খাওয়াই ভালো।


৪) ক্যালরির পরিমাণ কমানোর জন্য অনেকেই খাবারে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার ব্যবহার করে থাকেন। চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি মূত্রনালীতে সংক্রমণ বা কোনোরকম সমস্যা থাকে, তাহলে কৃত্রিম সুইটেনার থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারণ, এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।


৫) মূত্রনালি বা মূত্রস্থলীতে সংক্রমণ বা কোনোরকম সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত মশলাদার খাবারদাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ ঝাল বা অতিরিক্ত মশলাদার খাবারদাবার মূত্রস্থলীতে অস্বস্তি তৈরি করে।


৬) অ্যালকোহলের প্রভাবে পেটের সঙ্গে সঙ্গে মূত্রস্থলীতেও অস্বস্তি তৈরি হয়। তাই সংক্রমণের প্রবণতা থাকলে বা মূত্রস্থলীতে কোনোরকম সমস্যা থাকলে অ্যালকোহল থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন।